রাজশাহী: রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সৈনিকদের দরবার গ্রহণ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এনডিসি, পিএসসি।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এই দরবার গ্রহণ করেন তিনি।
এ সময় রেজিমেন্ট অব দি মিলিনিয়াম হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের চতুর্থ ‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত করা হয় সেনাবাহিনী প্রধানকে।
পরে সেনা প্রধান বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের (বীর) কোয়ার্টার গার্ড ও শহীদদের স্মরণে রাজশাহী সেনানিবাসে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছুলে ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয় সেনা প্রধানকে।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সেনা প্রধান, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,‘আপনাদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীকে দক্ষতার উচ্চ শিখরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিগত দিনের অর্জিত সম্মান ও গৌরবে মহিমান্বিত হয়ে আপনারা সেনাবাহিনীকে উচ্চতর স্তরে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবেন বলে আমি আশা করি।
পদাতিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী এবং আধুনিক করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই গ্রহণ করা হয়েছে। পদাতিক বাহিনীতে বেশ কিছু ক্ষুদ্র ও ভারী অস্ত্র সংযোজন হয়েছে। এছাড়াও নতুন এপিসি ও অত্যাধুনিক ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে পদাতিক বাহিনীর দক্ষতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করে সেনা প্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোর বিন্যাস ও আধুনিকায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনের ফলে পদাতিক ব্যাটালিয়নের গুণগত অনেক পরিবর্তন হবে এবং ইউনিট সমূহের সক্রিয়তা ও গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যদের প্রশিক্ষণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে পেশাদারিত্ব অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার জন্যও আহ্বান জানান সেনা প্রধান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে মেজর জেনারেল মুশফিকুর রহমান ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইফুল আবেদিন বক্তব্য রাখেন। পরে সেনা প্রধান মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এসএস/ওএইচ/আরআই