মুন্সীগঞ্জ: শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটের নৌ চ্যানেলে বর্তমানে পানি স্বল্পতার কারণে ফেরি চলাচল করছে পদ্মা নদীর তলদেশ ঘেঁষে ঘেঁষে। নৌ-চ্যানেলের কাঠালবাড়ি ও হাজরা পয়েন্টসহ একাধিক স্থানে পানি স্বল্পতা প্রকট হওয়ার এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত একটি ফেরিতে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ১৬ থেকে ১৭টি যানবাহন পারাপার করতে পারলেও, নাব্যতা সঙ্কটের কারণে নৌ-চ্যানেলে আটকে যাওয়ার ভয়ে ১১ থেকে ১২টির বেশি যানবাহন ফেরিতে লোড করছে না বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে, নাব্যতা সঙ্কটের কারণে মারাত্মক বিঘ্নিত হওয়ায় চলাচলরত ফেরিগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হচ্ছে। এতে একদিকে বিআইডব্লিউটিসির জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অপরদিকে নৌরুটে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারি বাংলানিউজকে জানান, নৌ-চ্যানেলে ডুবোচর জেগে ওঠাসহ পদ্মা নদীতে পানি চাহিদার তুলনায় অনেক কমে গেছে। এর ফলে নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হলেও বর্তমানে এ অবস্থা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।
তিনি জানান, মাত্রাতিরিক্ত পানি সঙ্কটের কারণে এখন নৌ-চ্যানেলের কাঠালবাড়ি ও হাজরা পয়েন্টসহ একাধিক স্থানে ফেরি চলাচল করছে নদীর তলদেশ ঘেঁষে ঘেঁষে। এতে ফেরির প্রপেলারসহ ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় ঘাট থেকে ছেড়ে ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী ট্রাকসহ ১৬ থেকে ১৭টি যানবাহন পারাপার করা যায়। কিন্তু নাব্যতা সঙ্কটে ফেরি আটকে যাওয়ার আশঙ্কায় ফুললোড না করে ১১ থেকে ১২টি যানবাহন লোড করে ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে। প্রতি ফেরিতে ৪ থেকে ৫টি পণ্যবাহী ট্রাক কম নিয়ে নৌরুট সচল রাখা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির অপর একটি সূত্র জানায়, ফেরিতে পারাপার হওয়া যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে নানা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া কোনো কোনো যাত্রী সময় বাঁচাতে বিকল্প মাধ্যমে পদ্মা পাড়ি দেওয়ায় তাদের আর্থিক খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিমুলিয়া ঘাট সূত্র জানায়, নৌ-চ্যানেলে পানি সঙ্কটের কারণে ফেরি চলাচল বিলম্বিত হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দির উভয়ঘাটে যানবাহনের চাপ দেখা দেয়।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ এসব যানবাহন পারাপারের ব্যবস্থা নিলেও যানবাহনের চাপ এখনও রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এসএইচ