জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: পুলিশ বাহিনীতে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগুন সন্ত্রাসীরা যেন শৃঙ্খলিত একটি বাহিনীতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশের কর্মকর্তাদের সর্তক থাকতে বলেন তিনি।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধামন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনীর মনে রাখা উচিত- কিভাবে আগুন সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর আক্রমণ করেছিল। আগুন সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পুলিশও রক্ষা পায়নি। পুলিশের ১৮/১৯ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। এই বিষয়টি মনে রেখেও তো নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের সর্তক থাকা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীতে যাতে জামায়াত-শিবিরের লোক ঢুকতে না পারে, সেজন্য তাদের সচেতন থাকতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আশা করি তারা সচেতন হবে। পুলিশ বাহিনীতে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বীধানতাবিরোধী ও বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের কর্মকাণ্ডে লিপ্তদের ক্ষেত্রে পুলিশে অন্তর্ভুক্তির সময় পুলিশ বাহিনীর অফিসারদের সতর্ক থাকতে হবে।
পুলিশ বাহিনীতে সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের নিয়োগ বন্ধে সংসদ সদস্যদের সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজ এলাকায় পুলিশে নিয়োগের পর খোঁজ নিয়ে দেখবেন কোনো সন্ত্রাসী-জঙ্গি নিয়োগ হয়েছে কি না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশের জনবল গ্রহণের জন্য একটি নীতিমালা আছে। তবে এটা ঠিক বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-২০১৪ নির্বাচন ঠেকানোর প্রচেষ্টা এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত একের পর এক যে তাণ্ডব চালিয়েছিল, কোনকিছু তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। এমনকি পুলিশের সদস্যরাও রেহাই পায়নি। পুলিশও তাদের দ্বারা নির্মমভাবে হত্যার স্বীকার হয়েছে।
‘আর পুলিশ বাহিনী যখন লোক (জনবল) গ্রহণ করে তখন এর দায়িত্বে থাকে পুলিশ বাহিনীর অফিসাররা। আমি মনে করি, তাদের এই কথাগুলো একটু মনে রাখা উচিত। কাজেই জামায়াত-শিবিরের লোক পুলিশ বাহিনীতে ঢোকার ক্ষেত্রে তারা সচেতন হবেন এটাই আশা করি। তবে এখানে আমরা হস্তক্ষেপ করতে চাই না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬/আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা
এসকে/এসএম/এমজেএফ
** ১০ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
** ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ৭,১৩৯ সদস্য