ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘সুজন হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
‘সুজন হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না’

খুলনা: খুলনা নগরের খালিশপুরে প্রতিবাদী তরুণ সুজন (২৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি শেখ সেলিম ওরফে পচা সেলিমের ছেলে শেখ খালিদ (৩৪) প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।

বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সুজনের বোন তাছলিমা বেগম এ অভিযোগ করেন।



লিখিত বক্তব্যে  তিনি বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাশিপুর মোড়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওই অনুষ্ঠানে খালিদ মঞ্চে উপস্থিত থেকে সংবর্ধিত অতিথিদের ফুলের মালাও পড়িয়ে দেন।

‘ওই অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু হত্যা মামলার প্রধান আসামি হওয়ার পরও কীভাবে শেখ খালিদ একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তা আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। ’

সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান খালিদ ও তার সহযোগীরা সুজনকে হত্যা করে। হত্যার পর শোকাহত পরিবারের পাশে খালিশপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন দাঁড়াননি। বরং তিনি নিহতের পরিবারকে নানা ভাবে চাপের মুখে রাখেন। নিহতের ভাই শাহাদাতকে সুজনের জানাজায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

তাছলিমা বেগম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থানায় মামলা করতে গেলে খালিশপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন শর্ত জুড়ে দেন, শেখ খালিদ ও মেহেদীকে আসামি করা যাবে না। তাদের নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ দিতে হবে। খালিদ তার আত্মীয় বলেও আমাদের জানান তিনি।

‘পরে ঘটনার ৫ দিন পর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের চাপের মুখে থানায় মামলা নেওয়অ হয়। কিন্তু খালিদ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও তাকে ধরছে না পুলিশ,’ যোগ করেন তিনি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সুজনকে সন্ত্রাসী খালিদ ও তার বাহিনী বাসা ধেতে সুজনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে খালিশপুর বার্মাশীল কবরস্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

পরে সুজনকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ৯ ফেব্রয়ারি রাতে ঢাকায় স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। পরে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মাওয়ায় ফেরির ওপর মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নিহতের বাবা মিল শ্রমিক ফরিদ সর্দার বাদী হয়ে মোট ১৭ জনকে আসামি একটি মামলা (নম্বর-১১) করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত সুজনের বাবা ফরিদ সর্দার ও মা রাবেয়া বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এমআরএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।