ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ফোন করলেই ক্ষতিগ্রস্ত ম্যানহোল পুনঃস্থাপন

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
ফোন করলেই ক্ষতিগ্রস্ত ম্যানহোল পুনঃস্থাপন

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: রাজধানীতে ঢাকনা বিহীন ম্যানহোলের তথ্য ১৬১৬২ নম্বরে ফোন করে জানালেই তা পুনঃস্থাপন করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
 
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে সংসদকে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।


 
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও জানান, রাজধানীর অধিকাংশ ম্যানহোল ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণাধীন। ঢাকা ওয়াসার নিয়ন্ত্রণে থাকা ম্যানহোলের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এর মধ্যে ড্রেনেজ লাইনের উপর প্রায় ১১ হাজার এবং স্যুয়ারেজ লাইনের উপর প্রায় ২৯ হাজার ম্যানহোল রয়েছে। ঢাকা ওয়াসার ১০টি জোনের মাধ্যমে ড্রেনেজ ও স্যুয়ারেজ লাইনের উপর স্থাপিত সমস্ত ঢাকনাসহ ম্যানহোলের তদারকি করা হয়। এছাড়াও ঢাকা ওয়াসার ড্রেনেজ বিভাগের অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে সেখানেও অভিযোগ করা যায় অথবা ১৬১৬২ নম্বরে কল করলে ঢাকনা বিহীন ম্যানহোলের তথ্য পাওয়া মাত্র তা পুনঃস্থাপন করা হয়।
 
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ঢাকার ঢাকনা বিহীন ম্যানহোল মেরামত করা স্থানীয় সরকার বিভাগের ঢাকা ওয়াসা ও ঢাকার দু’টি সিটি কর্পোরেশনের রুটিন কাজ। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এ বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ঢাকনা বিহীন ম্যানহোলের তথ্য প্রতিদিন সিটি করপোরেশনকে অভিহিত করে।
 
ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খানের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের এলজিইডি’র আওতায় সারা দেশব্যাপী চারহাজার ৭৫০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ৬০২ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হয়েছে।

ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গ্রাম পুলিশের ভাতা পরিশোধের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ বরাবর বার্ষিক অনুদান প্রদানের কোনো নীতিমালা গ্রহণের পরিকল্পনা সরকারের নেই। তবে গ্রাম পুলিশদের সরকারি অংশের বেতন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের চাহিদার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রদান করে থাকে।
 
সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় দেশের ২২ লাখ দরিদ্র পরিবার তথা এক কোটি নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী উপকৃত হচ্ছে।
 
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আরও জানান, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪টি জেলার ৪৮৫টি উপজেলার ৪ হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নের মোট ৪০ হাজার ৫২৭টি ওয়ার্ডের ৪০ হাজার ৪২৭টি গ্রামকে আওতাভুক্ত করা হয়েছে। প্রতি গ্রামের ৬০ জন দরিদ্র মানুষকে নিয়ে গ্রাম উন্নয়ন সমিতি গঠন করা হয়েছে।   এতে দেশের ২২ ল‍াখ দরিদ্র পরিবার তথা এক কোটি নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী উপকৃত হচ্ছে।
 
তিনি জানান, এ প্রকল্পের আওতায় সমিতির সদস্য প্রতিমাসে ২০০ টাকা হিসেবে ২৪০০ টাকা সঞ্চয়ের বিপরীতে প্রকল্প থেকে সমপরিমাণ উৎসাহ বোনাস এবং বছরে সমিতি প্রতি এক ল‍াখ ৫০ হাজার টাকা আবর্তক তহবিল প্রদান করা হচ্ছে। এতে প্রতি দুই বছরে সমিতির স্থায়ী তহবিল হয় ৯ ল‍াখ টাকা। সরকার প্রদত্ত অনুদানের টাকা কখনও ফেরত নেওয়া হবে না।
 
মন্ত্রী জানান, এ প্রকল্পের আওতায় সমিতির বর্তমান তহবিল ২ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা। এ তহবিল থেকে দুই হাজার ৫শ’ ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ২১ লাখ ৪৮ হাজার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আয়বর্ধক খামার গড়ে তোলা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এসকে/এসএম/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।