জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: দুই মাসের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ড কমিশনার অফিসে প্রকাশ্যে জেলা প্রশাসকের হাত থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিধান রেখে ‘পায়রা বন্দর প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) বিল, ২০১৬’ পাস হয়েছে। পাস হওয়া বিলে দায়মুক্তির বিধান রাখা হয়েছে।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে ‘সংসদীয় কমিটি’র সুপারিশকৃত আকারে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। গত ২ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। বিলটির ওপর আনীত ৪৩টি দফার মধ্যে ৯টি সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
পাসকৃত বিলে বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে প্রদত্ত কোনো আদেশ বা গৃহীত কোনো কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে কোনো মামলা বা দরখাস্ত গ্রহণ করিবে না এবং এই ধরার অধীন কোনো কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো আদালত কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে না। এছাড়া অধিগ্রহণাধীন কোনো ভূমির উপর কোনো ঘরবাড়ি নির্মাণ বা ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলে ভূমি মালিক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী হবেন না। একইভাবে মাটি কেটে বা অন্যকোনভাবে ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা হলে সরকার ভূমি মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমানে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২ (২ নং অধ্যাদেশ) মোতাবেক দেশে প্রচলিত ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখলের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু সে আইনে অধিগ্রহণের জন্য ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির হলে আপিল করার বিধান নেই। এ আইনে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬
এসকে/এসএম/এমজেএফ