ঢাকা: যুদ্ধাপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখায় আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ।
মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) সকালে সুপ্রিমকোর্টে রায়ের পরপরই এক প্রতিক্রিয়ায় আদালতকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, অনেক প্রতীক্ষার পর আমরা ভালো ফল পেলাম। তবে আশা করছি যথা সময়ে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
তুরিন আফরোজ বলেন, একাত্তরের যুদ্ধের সময় মীর কাসেম আলী তার নিজ এলাকায় ‘বাঙালি খান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রায় বহাল থাকায় প্রসিকিউশনের সবাই খুশি।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মূল হোতার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আটজনকে হত্যা-গণহত্যার দায় প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে আপিল মামলার রায়ে।
মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) সকাল নয়টায় দেশের এ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়ার্ড আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষনেতা ছিলেন জামায়াতের বর্তমান কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী। সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আলবদর বাহিনী ও ছাত্রসংঘের অপরাধের দায়ও তাই বর্তেছে তার ওপরে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৬
বিএস
