ঢাকা: মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আইনজীবী হিসেবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। তবে ‘ভবিষ্যতের ইতিহাস একদিন এ রায়ের বিচার করবে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) রায়ের পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এ মামলার শুনানিতে আমরা কি বলেছি, রাষ্ট্রপক্ষ কি বলেছে এবং উচ্চ আদালত কী বলেছে। এখন রায় হয়েছে। আমাকে আইনজীবী হিসেবে সর্বোচ্চ আদালতের রায় মেনে নিতে হবে।
ভবিষ্যতের ইতিহাস এ রায়ের বিচার করবে। এখানে আমি কোনো কমেন্ট করবো না। এখানে তার ছেলে আছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তারা লিখিত বক্তব্য দেবেন। ’
রিভিউ আবেদন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রায় দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
পরে কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। ’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল নয়টায় সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী কিলিং স্কোয়াড আলবদর বাহিনীর তৃতীয় শীর্ষনেতা ছিলেন জামায়াতের বর্তমান কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী। সুপিরিয়র রেসপন্সিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আলবদর বাহিনী ও ছাত্রসংঘের অপরাধের দায়ও তাই বর্তেছে তার ওপরে।
এছাড়া চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মূল হোতার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আটজনকে হত্যা-গণহত্যার দায় প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় আপিল মামলার রায়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৮,২০১৬
ইএস/আরআই