ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

এটিএম কার্ড জালিয়াতি

অর্থ আত্মসাতের দায় স্বীকার পিওতরের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৬
অর্থ আত্মসাতের দায় স্বীকার পিওতরের ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/ফাইল ফটো

ঢাকা: এটিএম কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের এক মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পোল্যান্ডের পিওতর শজেপ্যান মাজুরেক। অন্য একটি মামলায় তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন অন্য একটি আদালত।

  

বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড জালিয়াতি চক্রের হোতা সন্দেহে গ্রেফতারকৃত পিওতরকে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বনানী থানার মামলায় চারদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হয়। তিনি জালিয়াতির ঘটনায় নিজের দায় স্বীকার করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পরে পিওতরকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানের আদালতে হাজির করে গুলশান থানার মামলায় আরো দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শুনানি শেষে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আসামিপক্ষে ছিলেন তাদের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান ও এইচএম মাসুম।

এ দু’টি মামলা ছাড়াও পল্লবী থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে পিওতরসহ এ পর্যন্ত গ্রেফতার করা ছয়জনের বিরুদ্ধে। বাকি পাঁচজনের মধ্যে সিটি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা মোকসেদ আল মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রেফাত আহমেদ রনিকে এর আগে বনানী ও পল্লবী থানার মামলায় তিন দফায় মোট ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। নতুন করে গুলশান থানার মামলায়ও পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে ওই তিনজনকেও।  

গ্রেফতারকৃত অন্য দু’জন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মী সাইফুজ্জামান ও বেসরকারি একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী হুমায়ুন কবীরকে গত ০৬ মার্চ থেকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ।

গত ০৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাজধানীর গুলশান, বনানী ও মিরপুরের কালশীতে ইস্টার্ন, সিটি ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) চার বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ বসিয়ে কার্ডের তথ্য চুরি ও পরবর্তী সময়ে কার্ড ক্লোন করে গ্রাহকদের অজান্তে টাকা তুলে নেওয়া হয়। বিষয়টি ১২ ফেব্রুয়ারি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় ব্যাংকগুলো বনানী, পল্লবী ও গুলশান থানায় আলাদা আলাদা মামলা করে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতির ঘটনায় ৪টি ব্যাংকের ৪০ জন গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের হিসাব থেকে প্রায় ২১ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।

ইউসিবিএলের করা মামলার এজাহারের সঙ্গে এটিএম বুথের সিসি ক্যামেরায় পাওয়া এক বিদেশির ছবিও দেওয়া হয়েছিল। এর ভিত্তিতে ২২ ফেব্রুয়ারি গুলশান থেকে পিওতর এবং সিটি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা মোকসেদ আল মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রেফাত আহমেদ রনিকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃত পোলিশ নাগরিক পিটার মাজুরেকের কাছ থেকে জব্দ করা হয় জার্মানির একটি পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ০৬ মার্চ গ্রেফতার করা হয় সাইফুজ্জামান ও হুমায়ুন কবীরকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।