বেনাপোল (যশোর): ভারতে পাচারের শিকার ১৪ বাংলাদেশি নারী-পুরুষকে ট্রাভেল পারমিট ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে ৩ বছর পর ফেরত পাঠিয়েছে ভারত সরকার।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পৃথকভাবে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সদস্যরা যৌথভাবে ওই ১৪ জনকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করেন।
তাদের মধ্যে ট্রাভেল পারমিটের ৫ জনকে যশোর রাইটস নামে একটি এনজিও ও বাকি ৯ জনকে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সংস্থা গ্রহণ করে।
ফেরত আসা নারী-শিশুরা হলেন- খুলনার ইয়াসমিন খাতুন (২০), ঢাকার সুলতানা নিসা (২১), নড়াইলের জুলি খাতুন (১৯), ঢাকার সাভার এলাকার তাসলিমা খাতুন (২০), নারায়ণগঞ্জের তাসলিমা খাতুন (২২), টাংগাইলের আবু সাইদ (১৪), গোপালগঞ্জের বিজয় সরদার (১৬), তুহিন সরদার (১৭), জীবন রহমান (১৭) ও সাতক্ষীরার মনোয়ারা বিবি (৪০), সনিয়া সুলতানা (০৫), মজিদা গাজি (৫০), স্বপ্না (২৩) ও আবির হাসান (০২)।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মতিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, তাদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দু’টি এনজিও সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
যশোর রাইটস’র তথ্য ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সংসারে অভাবের সুযোগ নিয়ে ভালো কাজের আশা দিয়ে পাচারকারীরা বিভিন্ন সময় তাদের সীমান্ত পথে ভারতে নিয়ে যায়। পরে দালালের হাতে তুলে দিয়ে পালিয়ে আসে। এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ তাদের আটক করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে জাবালা ও নিলুয়া হোম নামে দু’টি এনজিও সংস্থা তাদের মুক্ত করে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে দু’দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এক পর্যায়ে স্বদেশ ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এসময় তিনি আরো জানান, ফেরত আসা নারী-শিশুদের অবিভাবকরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চান তাহলে তাদের আইনি সহায়তা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
জেডএস