ঢাকা: দেশের অন্যতম বৃহৎ বুড়িগঙ্গা নদীর উৎসমুখ বেপরোয়া দখল ভরাটে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
শুরুতেই মূল বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাপার যুগ্ম সম্পাদক ও বুড়িগঙ্গা রিভারকিপার শরীফ জামিল।
শরীফ জামিল বলেন, হযরতপুর বাজার সংলগ্ন ঢালীকান্দির কয়েক গজের মধ্যেই বুড়িগঙ্গা নদীর উৎসমুখ নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে। ঢালীকান্দির প্রায় এক কিলোমিটার ভাটিতে চুনারচর এলাকায় এখন শুধুই খাল সদৃশ্য একটি জলাশয়ের চিহ্ন মাত্র খুঁজে পাওয়া যায়।
তিনি জানান, ধলেশ্বরী থেকে আসা আদি বুড়িগঙ্গা বছিলা পর্যন্ত সব অংশেই কোনো না কোন ভাবে দখল প্রক্রিয়া এখনো চলমান। বছিলার চলমান সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লি. ও কিছু হাউজিং কোম্পানির দখলের তাণ্ডব একেবারেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ধলেশ্বরী থেকে আসা আদি বুড়িগঙ্গার মিলনমুখ।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গার আদিমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ইতোমধ্যেই বুড়িগঙ্গার দ্বিতীয় চ্যানেল মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন এর সদস্য সচিব নিখিল বিশ্বাস বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীকে উদ্ধার করতে না পারা সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এটাকে যদি উদ্ধার করতে না পারি তাহলে দেশের অন্যান্য নদীকে কীভাবে উদ্ধার করতে পারবো।
নদীর তলদেশ পরিষ্কার করার নামে প্রায় ১শ’ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাপা সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল মতিন বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীকে উদ্ধার করার কথা সরকারসহ আমরা সবাই বলছি। এ নিয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলো কোনো কাজে আসছে না। তাহলে কী আমরা বলবো এসব পদক্ষেপ শুধুই লোক দেখানো?
ব্যতিক্রমভাবে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
একে/এফবি/আরআই