ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চার শিশু হত্যার ঘটনায় আরো ১ আসামি রিমান্ডে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
চার শিশু হত্যার ঘটনায় আরো ১ আসামি রিমান্ডে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

হবিগঞ্জ: পূর্ব বিরোধের জের ধরে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের চার শিশু হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আরো এক আসামি সাহেদের (৩৫) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওছারুল আলম এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।



বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ৠাব-৯ সাহেদকে বিশ্বনাথ থেকে আটক করে বৃহস্পতিবার সকালে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মুক্তাদির আলম গ্রেফতারকৃত সাহেদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিম‍ান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ত্রীলোককান্তী চৌধুরী বিজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) গ্রেফতারকৃত আরজু মিয়ার সাতদিন ও বশিরের পাঁচদিন এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাগল মিয়া ও তার ছেলে জুয়েল মিয়ার ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তাদের অপহরণ করা হয়। পাঁচদিন পর বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের ইছারবিল খালের পাশে বালুমিশ্রিত মাটিচাপা অবস্থায় ওই চার শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত শিশুরা হলো- বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাইল মিয়া (১০)। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই। আর ইসমাইল তাদের প্রতিবেশী

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশু মনির, শুভ ও তাজেলের বাবার সঙ্গে একটি বড়ই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের পঞ্চায়েত আব্দুল আলী ওরফে বাগল মিয়ার সঙ্গে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জের ধরে ওই শিশুদের অপহরণের পর হত্যা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।