ঢাকা: প্রতিটি থানায় শিশু বিষয়ক হেল্প ডেস্ক করা হচ্ছে। ইউনিসেফ’র সহযোগিতায় বর্তমানে প্রকল্পটির পাইলটিং চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা জানান ইউনিসেফ’র হেড অব চাইল্ড অ্যাফেয়ার্স রোজ অ্যানি পাপাবেরো।
‘ডেসিমিনেশন সেশন অব কনক্লুডিং অবজারভেশনস অব সিআরসি কমিটি অন দ্য ফিফথ পিরিয়ডিক রিপোর্ট অন দ্য রাইটস অব দ্য চিলড্রেন গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভাটি যৌথভাবে আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ।
রোজ অ্যানি পাপাবেরো বলেন, দেশের প্রতিটি থানায় শিশু বিষয়ক হেল্প ডেস্ক গঠনের জন্য কাজ চলছে। যেখানে একজন করে পুলিশ কর্মকর্তা শিশুদের সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকবেন। বর্তমানে এ কার্যক্রমের পাইলটিং চলছে। এছাড়া পুলিশ একাডেমির প্রশিক্ষণ কার্যক্রমেও বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।
আলোচনা সভায় ইউনিসেফ’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ এডওয়ার্ড বেগবিডার বলেন, শিশুর জন্য সবাই; এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সবার কাজ করতে হবে। শিশুর অধিকার রক্ষায় শুধু কার্যক্রম হাতে নিলে হবে না। এজন্য প্রয়োজন সরকারের মনিটরিং।
তিনি উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত ২৫ বছরে বাংলাদেশের অর্জন প্রভূত। উত্তরাধুনিক এ যুগে পরিবর্তনশীল বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে আসুন শিশুদের সর্বোৎকৃষ্ট স্বার্থের জন্য বিদ্যমান সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা আরো কার্যকরী পদক্ষেপ নেই।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম (এনডিসি) বলেন, শিশু নির্যাতনের কথা যতটা মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচারিত হয়, ততটা প্রচারিত হয়না বিচারের খবর। শিশু রাজনের হত্যাকারীকে বিদেশ থেকে এনে বিচার করা হলো। মাত্র ৪ মাসের মধ্যে এই বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অথচ মিডিয়াতে এ নিয়ে তেমন কোনো খবর নেই।
তিনি বলেন, শিশু নির্যাতনের বিচারগুলো ফলাও করে প্রচার হওয়া উচিত। কেননা, এতে অন্য অপরাধীরা শিক্ষা নেয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস, ড. অরুণা বিশ্বাস প্রমুখ। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫
ইইউডি/জেডএস