ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে নুরুন্নাহার (২৮) নামে এক গৃহবধূকে সাতদিন ধরে আটকে রেখে নির্যাতন করায় তার স্বামী শহিদুল ইসলাম (৪০) ও সতিন রহিমা খাতুনকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাট গোপালপুর এলাকার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক শহিদুল জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মহিতুর গ্রামের নবির উদ্দিনের ছেলে। এবং রহিমা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রতনপুর সোনারদাড়ির জহুরুল হকের মেয়ে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, প্রথম স্ত্রীকে নির্যাতনের বিষয়টি বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে জানাজানি হলে শহিদুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে হাট গোপালপুরে এক আত্মীয়র বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরে দুপুরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
নির্যাতিত নুরুন্নাহার বাংলানিউজকে জানান, ১৪ বছর আগে আক্কেলপুর উপজেলার মহিতুর গ্রামের নবির উদ্দিনের ছেলে শহিদুলের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দু’টি ছেলে রয়েছে। তাকে বিয়ে করার সাত বছর পর রহিমা খাতুনকে বিয়ে করেন শহিদুল। এরপর থেকেই নুরুন্নাহারের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন তার স্বামী ও সতিন।
২০/২৫ দিন আগে বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে নুরুন্নাহারকে ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় আটকে রাখেন শহিদুল। এরপর থেকেই তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু হয়। সাতদিন ধরে ঘরে আটকে রেখে লাঠি, হাতুড়ি ও রড দিয়ে তাকে বেদম মারধর করা হয়।
বুধবার রাতে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে নুরুন্নাহার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নুরুন্নাহার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বকরা আলী বিল গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
এসআই