ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে রামগঞ্জে বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬
শিক্ষক হত্যার প্রতিবাদে রামগঞ্জে বিক্ষোভ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অহিদুর রহমান অভি হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
 
উপজেলার ফতেহপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রামগঞ্জ পৌরশহরে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 
 
স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষক অহিদুর রহমান হত্যার প্রতিবাদে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
 
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় স্কুল শিক্ষক কামাল হোসেন, ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা রামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের নেতা মাহমুদুর রহমান রাজু, রামগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান মাসুদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হোসেন, আবদুর রহমান সুমন, চণ্ডিপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ইউছুফ প্রমুখ।
 
এর আগে, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কের চান্দিনা কাঠেরপুল এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। পরিচয় না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ বেওয়ারিশ হিসাবে মৃতদেহটি আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের উদ্যোগে দাফন করে।  
 
বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নিহতের স্ত্রী সোনিয়া বেগম ও ভাই আনোয়ার হোসেন চান্দিনা থানায় গিয়ে ছবি দেখে এবং হাতের রুপার আংটি (রিং) দেখে পরিচয় নিশ্চিত হয়।
 
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমদ নিজামী জানান, চেষ্টা করেও পরিচয় না পাওয়ায় বেওয়ারিশ হিসাবে আঞ্জুমান মফিদুলে মৃতদেহটি দাফন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মরদেহ দাফনের পর নিহতের ভাই, স্ত্রীসহ স্বজনরা চান্দিনা থানায় এসে ছবি দেখে মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করেছেন।
 
নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি তার ভাই অহিদুর রহমান সন্তানের চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ ঢাকার রায়েরবাগে তার বাসায় আসেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসা শেষে সন্ধ্যার আগেআগেই বাসায় ফিরে আসেন। পরে, সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) কদমতলী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
 
আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার ভাই ঢাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবার (শ্বশুর) বাসায় যাওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রী ও শ্বশুর পক্ষের লোকজন অপহরণ করে হত্যা করেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬        
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।