ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে রোববার বসছে ‘মৌ মেলা’

আবু খালিদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬
রাজধানীতে রোববার বসছে ‘মৌ মেলা’ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ‘মধু’ নাম শুনলে বা নিলেই জিহ্বায় একটা আলাদা অনুভূতি কাজ করে। গুণ আর স্বাদে প্রথম স্থানে থাকায়, নানা উপমাতেও মধু শব্দটির ব্যবহার রয়েছে।

এছাড়া এর ওষুধিসহ নানা গুণও কম নয়।
 
কিন্তু দেশে এখনও পুষ্টিকর ও গুণ সমৃদ্ধ খাদ্যের চাষ এবং উৎপাদন তেমনভাবে সম্প্রসারিত হয়নি। এজন্য প্রাকৃতিক খাদ্যের মধ্য সবচেয়ে বিশুদ্ধ খাদ্য হিসেবে পরিচিত পাওয়া মধু নিয়ে এবার রাজধানীতে বসছে ‘মৌ মেলা-২০১৬’।
 
আগামী রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তন চত্বরে তিন দিনব্যাপী এ মেলা শুরু হতে যাচ্ছে। আয়োজনে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই)।
 
ডিএই’র মহাপরিচালক ও কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মধু চাষীদের উদ্বুদ্ধ, যেসব ফসল ও ফলে মধু চাষের সম্ভাবনা আছে সেসব ফসল ও ফলের চাষ বাড়ানো, মধু চাষি ও বাজারজাতকারীর মধ্যে সমন্বয়, প্রচলিত মৌ চাষের গণ্ডি বাড়ানোসহ নানা লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
 
তিনি জানান, ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্বেও দেশে মধু চাষ ও উৎপাদন তেমনভাবে সম্প্রসারিত হয়নি। এর চাষ সম্প্রসারিত হলে দেশে কর্মসংস্থান ও রফতানির সুযোগও রয়েছে। এখানে মধুর সঙ্গে জড়িত সব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণও থাকবে।
 
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মধুর সঙ্গে পরিচয়, খাটি মধু চেনার উপায়সহ বিভিন্ন বার্তাও পাওয়া যাবে এ মেলায়, যোগ করেন তিনি।
 
ডিএই সূত্র জানায়, অনেক ফসল ও ফলে মধু চাষ হয়ে থাকে। যেমন সরিষা, কালোজিরা, ধনিয়া, তিল, পেঁয়াজ বীজ, সূর্যমুখী, লিচু, আম গাছ। এসব ফসল ও ফলের চাষ বাড়ানোর তাগিদও এ মেলার অন্যতম বড় উদ্দেশ্যে।
 
এছাড়া অনেক চাষি মনে করেন, মৌ চাষে তাদের ফসলের ক্ষতি হয়। এরকম নানা ভুল ধারণা তাদের মধ্যে রয়েছে। এসব বিষয়েও মেলার মাধ্যমে সচেতনতামূলক দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে মেলায়।
 
কৃষিবিদ মো. হামিদুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে গত নভেম্বর থেকে মৌ চাষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিএই মৌ চাষ সম্প্রসারিত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে পাহাড় ও সুন্দরবন অঞ্চল ছাড়াও অন্য অঞ্চলে মধু চাষ সম্ভব, তাও তুলে ধরা হবে এ মেলায়।
 
সূত্র জানায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন ক্ষুদ্র মধু চাষিদের নিয়ে কাজ করছে। এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে নতুন উদ্যোক্তারা চাইলেও মধু চাষ শুরু করতে পারবেন।
 
মেলায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মধু চাষিরা মধু প্রদর্শন করবেন। এ থেকে রফতানিকারক ও বাজারজাতকারীরা মধু চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ তৈরি হবে।
 
ডিএই সূ্ত্রে জানা যায়, দেশে কী পরিমাণ মধু চাষ ও উৎপাদন হচ্ছে তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। তবে ধারণা করা হয়, প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার মেট্রিক টন। প্রতিবছর পার্শ্ববর্তী দেশে প্রায় ৫শ টনের মতো রফতানি হয়ে থাকে।
 
রাজধানীর কেআইবি চত্বরে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেলা প্রদর্শন করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
 
কৃষি তথ্য সার্ভিসের বেতার কৃষি অফিসার গোলাম মাওলা বাংলানিউজকে জানান, মৌ মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
 
তিনি আরও জানান, মৌ মেলা উপলক্ষে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ডিএই’র কনফারেন্স রুমে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৬
একে/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।