ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

চেনা দৃশ্য বদলে দিচ্ছেন মেয়র আনিসুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
চেনা দৃশ্য বদলে দিচ্ছেন মেয়র আনিসুল ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাস্তা সংস্কার কিংবা পানির লাইন মেরামত মানেই রাস্তা খোঁড়াখুড়ি। আর রাস্তা খোঁড়া মানে রাস্তা জুড়ে মাটির স্তূপ।

সে স্তূপ কখনো কখনো ছোটখাটো টিলা আকার ধারণ করে। ফলে সংস্কার কাজ চলা এলাকায় যানচলাচল এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। এটাই রাজধানী ঢাকার স্বাভাবিক চিত্র ধরা হয়।

তবে এবার সে চিত্র বদলেছে। সংস্কার কাজে রাস্তা খোঁড়া হলেও রাস্তাজুড়ে মাটির স্তূপ নেই। যান চলাচলে ব্যাঘাত নেই। শুধু তাই নয়- দিনের আলোতে এসব কাজ করার অনুমতিও নেই। রাতেই কাজ শেষ করে, দিনে যান চলাচলের উপযোগী করে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের। এটাই শর্ত।

আর এ শর্তে মানতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে রাজি করিয়ে চেনা দৃশ্য বদলে দিচ্ছেন ঢাকা উত্তরের (ডিএনসিসি) নগর পিতা আনিসুল হক।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে রাজধানীর ডিএনসিসি’র কয়েকটি রাস্তা ঘুরে এমন দৃশ্যই দেখা যায়।

রাত ১২টার কিছু পরেই বনানী ১৮ নম্বর রোডে গিয়ে দেখা গেলো, নিয়ন আলোর নিচে চলছে ওয়াসার পাইপ বসানোর কাজ। একইসঙ্গে চলছে রাস্তা সংস্কারও। শ্রমিকরা একদিকে মাটি খুঁড়ছেন, মাটি ভরছেন। আবার ঠিক তেমনি রাস্তায় পড়ে যাওয়া বাড়তি মাটি সঙ্গে নিয়ে  ট্রাকে তুলছেন।

কারণ জানতে চাইলে ঠিকাদার নাসিরউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, খোঁড়াখুড়ির কাজ যতটা সম্ভব রাতে শেষ করতে হবে। সেটা সম্ভব না হলেও রাস্তা খুঁড়ে মাটির স্তুপ করা যাবে না। কাজ শেষে রাস্তা পরিচ্ছন্ন করতে হবে, যেন পরদিন সকাল থেকেই স্বাভাবিক যান চলাচল করতে পারে।

উত্তর সিটি করর্পোরেশনের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সহজ এবং স্বাভাবিক নিয়ম মেনে টেন্ডার দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন ঠিকাদাররা। একাধিক ঠিকাদার বলেন, আগে সর্বনিম্ন খরচ দেখাতে না পারলেও কিছুটা খরচ করে কাজ পাওয়া যেতো। এখন উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব মেয়র আনিসুল হকের হাতে আসার পর থেকে খরচ করে কাজ নেওয়ার সুযোগ আর নেই। স্বাভাবিক নিয়মে টেন্ডার কিনে সর্বনিম্ন রেটে কাজ দেখাতে পারলেই কাজ পাওয়া যায়।

বনানী এলাকার আরেক ঠিকাদার আবুল কাশেম বলেন, গভীর রাত হলেও নিজ থেকেই কাজ তদারকি করছি। না করে উপায় নেই। হঠাৎ করে কোনো একটা ভুল হলে কাজের অর্ডার কিংবা লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে মেয়রের হুমকি আছে। স্বাভাবিক নিয়মে কাজ পাওয়ায় খুশি হয়েছি। এভাবে সর্বনিম্ন খরচ দেখিয়ে কাজ পাওয়া যায়, সেটা তো ভুলেই গিয়েছিলাম। ‍

তিনি বলেন, অনিয়মের চেনা দৃশ্যগুলো বদলে দিচ্ছেন মেয়র আনিসুল হক। আমাদের প্রিয় নগর পিতা। বলতে বলতে মাটি খুঁড়তে থাকা শ্রমিকদের দিকে এগিয়ে গেলেন আবুল কাশেম।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
জেপি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।