ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘গর্ত নেই বামে আসুন’

হাসিবুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
‘গর্ত নেই বামে আসুন’ ছবি: শাকিল/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বারিধারা এলাকায় প্রগতি সরণির কোকাকোলা থেকে বাঁশতলা পর্যন্ত সড়কটি ডোবা নালায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় ড্রেনের পানিতে রাস্তা একাকার, জন্ম নিয়েছে মশা, ময়লা পঁচা গন্ধে ফুটপাত দিয়ে হাঁটাই দায়।


 
গালফ অটো কারস নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ময়লা ড্রেনের মধ্যে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে ‘গর্ত নেই বামে আসুন’।
 
 দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে সড়কটি এ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ। বৃষ্টি হলে নোংরা কাদা পানি সড়কের পাশের দোকানগুলোতে প্রবেশ করে, এ সড়ক সংলগ্ন আবাসিক এলাকার মানুষদের যাওয়া-আসা হয়ে পড়ে দুঃসাধ্য।

দীর্ঘসময়ের মধ্যে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের ব্যবস্থা না নেয়ায় জনসাধারণের দুর্ভোগ আরো বেড়েছে।
 
গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে এ সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, কোকাকোলা মোড় পার হয়ে নতুন বাজারের দিকে যেতে সড়কের বাম পাশ ঘেষে বাঁশতলা পর্যন্ত ময়লা পানিতে সড়কের প্রায় অর্ধেক তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ময়লা পানি জমে থাকায় দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না, আর জন্ম নিয়েছে মশা। বারিধারা ‘জে ব্লকের’ আট ও নয় নম্বর সড়কেরও বেশ কিছু অংশ ময়লা পানিতে একাকার। সড়কের পাশের দোকানিরা বিভিন্ন স্থানে ইঁট বসিয়ে, কাঠের পাটাতন দিয়ে যাওয়া আসার ব্যবস্থা করেছে।
 
তবে সড়কের পাশে গড়ে ওঠা প্রাইভেট কারের দোকানগুলোকেও দেখা গেছে সড়কের পাশে যানবাহন পরিষ্কার করতে। ফলে এখান থেকেও প্রচুর পানি ড্রেনে যাচ্ছে। এদিকে এই সড়কের পাশেই অবস্থিত একটি মাদ্রাসা থেকেও প্রচুর পানি সড়কে ফেলা হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
গালফ অটো কারস এর ব্যবস্থাপক মো. আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ড্রেন পরিষ্কার না করায় এ অবস্থা হয়েছে।

ময়লা পানির দুর্গন্ধে কাস্টমাররা আসতে চায় না। এছাড়া বৃষ্টি হলে ময়লা পানি দোকানে ঢুকে যায়।
 
তিনি আরো বলেন, পাশেই একটা মাদ্রাসা রয়েছে, যেখানে হাজার খানেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। যাদের ব্যবহৃত পানিতে রাস্তার এই অংশ পানিতে তলানোই থাকে।
 
বারিধারা জে ব্লকের আট নম্বর রোডের বাসিন্দা আহমেদ ইউসুফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই সড়ক দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে, নগরে কোন কর্তৃপক্ষ আছে বলে মনে হয় না। তা না হলে একটা রাস্তা এতদিন এভাবে পড়ে থাকতে পারে না।
 
রাস্তার পাশের গাড়ির দোকানগুলো এবং পাশের একটি মাদ্রাসা থেকে নির্গত পানিতেও অবস্থা আরো ভয়াবহ হয়েছে বলে স্থানীয় এ বাসিন্দা অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবছরই শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করা হয়, পরিষ্কার করা হয়। এবছরও ইতিমধ্ যে ওই এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে, আশা করছি আগামী দুই এক মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
এইচআর/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।