ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

দুবাইয়ে কারখানায় আগুন: ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১০
দুবাইয়ে কারখানায় আগুন: ৪ বাংলাদেশির মৃত্যু

ঢাকা: দুবাইয়ের একটি সুগন্ধি তৈরির কারখানায় আগুনে পুড়ে চার বাংলাদেশিসহ ১১ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে দুবাইয়ের কুজ শিল্প এলাকায় একটি গুদামে স্থাপিত ‘আফনান পারফিউমস ফ্যাক্টরি’তে আগুনে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের তালিকায় ছয়জন ভারতীয় এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিকও রয়েছেন।

আগুনের ঘটনায় নিহত চার বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে একজনের নাম পাওয়া গেছে। তার নাম আব্দুল কাদের।

দুবাইয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আবু জাফর বুধবার সন্ধ্যায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আগুনের ঘটনায় চারজন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর কথা শুনেছি। ’

তাদের নাম ও পরিচয় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ কনস্যুলেটকে দুবাই কর্তৃপক্ষ জানায়নি বলে জানান কনসাল জেনারেল।    

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হাসপাতালেও তারা গেছেন। ’

এদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্য এশিয়া বিষয়ক অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাফর বুধবার রাত আটটায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ‘আগুনের ঘটনা শুনেছি। আশা করছি বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও আবুধাবির দূতাবাস থেকে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। ’

দুবাই পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মেজর জেনারেল খামিস মাত্তার আল মাজেইনার বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা বুধবার আগুন লাগার কথা জানায়। আগুনে হতাহতের তথ্য জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘ওই গুদামে সুগন্ধি কারখানা চালানোর কোনো বৈধ অনুমতি ছিলনা। ’

দুবাই পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫৭ মিনিটে সুগন্ধি কারখানাটিতে আগুন লাগে। আশেপাশের দমকল বিভাগের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টার মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটে যায়।

মেজর জেনারেল খামিস মাত্তার আল মাজেইনার বলেন, ‘আগুনে নিহতদের বেশিরভাগেরই চেহারা এমনভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের পরিচয় জানা মুশকিল হবে। ’

নিহতদের মরদেহ স্থানীয় হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গুদামটি কারখানার পাশপাশি রাতের বেলা শ্রমিকদের রাত্রিযাপনের জন্যও ব্যবহৃত হতো।

আগুনের প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, ‘ওই কারখানাটির ভেতরেই শ্রমিকরা রাত্রিযাপন করতেন বলে শোনা গেছে। যদিও এজন্য সেখানে পৃথক কোনো ব্যবস্থা ছিলনা। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, ১১ আগস্ট ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।