ঢাকা: খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মাণাধীন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য একটি হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে ভেসেল এর কীল লেয়িং ও দুটি সাবমেরিন টাগ বোটের লঞ্চিং হলো সোমবার (৩১ অক্টোবর)। এর মধ্য দিয়ে খুলনা শিপইয়ার্ড উপমহাদেশে প্রথমবারের মত সাবমেরিন টাগ নির্মাণের দক্ষতা ও কৃতিত্ব অর্জন করলো।
নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনা শিপইয়ার্ডের সীপওয়েতে অনুষ্ঠিত এই লঞ্চিং অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আরো ছিলেন শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে খুব শীঘ্রই সংযুক্ত হতে যাওয়া দুটি সাবমেরিনের জন্য এই ২টি টাগ নির্মাণ করছে খুলনা শিপইয়ার্ড। মালয়েশিয়ার নৌ নির্মাণ কারিগরি সহায়তা প্রতিষ্ঠান (জিওএমএস) এর তত্ত্বাবধানে এ দুই সাবমেরিন টাগ নির্মাণের মাধ্যমে খুলনা শিপইয়ার্ড কারিগরি দক্ষতায় এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছুবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসের সাবমেরিন টাগের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
বাংলাদেশ নৌবহিনীর সমর বহরে চীন থেকে সংগ্রহ করা দুটি সাবমেরিন যুক্ত হতে যাচ্ছে খুব শীঘ্রই। পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাছে এসব সাবমেরিন এর জন্য নির্মাণাধীন পোতাশ্রয়ে টাগগুলো অবস্থান করবে। গভীর সমুদ্র থেকে সাবমেরিনকে পোতাশ্রয়ে টেনে নিয়ে আসার জন্য শক্তিশালী টানা নৌযান বা টাগ এর প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশ নৌবাহিনী দুটি সাবমেরিন টাগ তৈরির উদ্যোগ নেয়। এসব সাবমেরিন টাগ এর নির্মাণ তদারকির দায়িত্বে রয়েছে বিশ্বখ্যাত নৌজরিপ প্রতিষ্ঠান ব্যুরো অব ভেরিটার্স। প্রায় ১০৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩৮ ফুট প্রস্থ টাগগুলো পূর্ণ লোডে ঘণ্টায় ১২ নটিক্যাল মাইল বেগে সামনে ও ১১ নটিক্যাল মাইল বেগে পেছনে চলতে পারবে।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য নির্মিতব্য এই ২টি হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় জরিপ চালাতে পারবে। ভেসেল ২টির নকশা ও নির্মাণ কাঠামো বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থায় সার্ভে কার্য পরিচালনার জন্য উপযুক্ত। অস্ট্রেলিয়ার স্বনামধন্য নৌ প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের তৈরি নকশায় ভেসেল ২টি নির্মাণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ডে ৫টি যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাছাড়া আরো ২টি লার্জ পেট্রোল ক্রাফটের নির্মাণ কাজ চলছে। আইএসপিআর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৬
জেডএম/