ঢাকা: সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল যেমন ভারত গঠনে ভূমিকা রেখেছিলেন, তেমনি দেশভাগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিও ছিলেন সহমর্মী। তাদের সমস্যা দূর করতে যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের নতুন চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এসব কথা বলেন।
ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আয়রন ম্যান (লৌহ মানব) সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের পরিচিতি বিশ্বজুড়ে তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও প্রদর্শিত হলো তথ্য চিত্র ‘ম্যান অব সাইলেন্স-সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল’। একই সঙ্গে ‘লাইফ অ্যান্ড টাইমস অব সর্দার প্যাটেল’ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী তিনি আরও বলেন, ভারতের ইতিহাসকে জানতে হলে বল্লভভাই প্যাটেলকে জানতে হবে। নতুন প্রজন্মকে তার কীর্তি, অবদান স্মরণ করতে হবে।
বল্লভভাই প্যাটেলের ১৪১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার বলেন, তিনি ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর অনুসারী। লন্ডনে ব্যরিস্টারি পড়া শেষ করে তিনি আবার ভারতে ফিরেছিলেন। তিনি আইনজীবী হিসেবে সফল ছিলেন, দেশ গঠনেও সফল ভূমিকা রেখেছেন- দেশ গড়তে তিনি জীবন উৎসর্গ করেছেন।
গুজরাট, হায়দ্রাবাদসহ ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছেন তিনি। ভারত স্বাধীন হওয়ার পূর্বে যেমন, স্বাধীনতার পরেও দেশের জন্যে কাজ করে গিয়েছেন বল্লবভাই।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৬
এমএন/এটি