নেত্রকোনা: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবিত ও মৃত’ ছোটগল্পে কাদম্বিনী ‘মরিয়া প্রমাণ’ করেছিলো যে সে ‘মরে নাই’। এবার নেত্রকোনায় কিশোর মরে প্রমাণ করলো সে মরেনি।
বিষ পান করা মুখলেছ মিয়া (১৫) নামে কিশোরটিকে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে মুমুর্ষূ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর কিছুক্ষণ পর বাধে বিপত্তি! হঠাৎ কিশোরের হাত-পা নড়ে উঠলে আধুনিক সদর হাসপাতাল যেনো একসঙ্গে বলে ওঠে ও ‘মরে নাই’! চিকিৎসাধীন রোগীরা পর্যন্ত ভিড় করেন এই ‘মিরাকেল’ দেখতে।
এর আগে সোমবার (৩১ অক্টোবর) দিনগত রাত ১১টার দিকে পূর্বধলা উপজেলার মারগান্ডা গ্রামের কিতাব আলীর কিশোর ছেলের মুখলেছ মিয়ার (১৫) জীবন বাঁচাতে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চিকিৎসক জানিয়ে দেন মুখলেছ মারা গেছে। কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের বিছানায় তার নিথর দেহ ক্রমাগত নড়তে শুরু করে। এ দৃশ্য দেখে হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও উপস্থিত মুখলেছের স্বজনরা কৌতুহলে ফেটে পড়েন। কেউ কেউ ভুল চিকিৎসা হয়েছে দাবি তুলে চিকিৎসক-সেবিকাদের ওপর চড়াও হন।
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করতে এসে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন নেত্রকোনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোজাম্মেল হকও!
পুরো বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সৌগত আইচ রানা দ্রুত ইসিজি করানোর সিদ্ধান্ত নেন।
ইসিজি রিপোর্টে দেখা যায়- মুখলেছ সত্যিই মারা গেছে।
ডা. সৌগত বাংলানিউজকে বলেন, এ রকম হতে পারে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৬
এটি