বনানী বাসস্ট্যান্ড থেকে: বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীতে বাড়ে জনদুর্ভোগ। বিভিন্ন দুর্ভোগের মধ্যে অফিস টাইমে বাসের জন্য দৌড়ঝাঁপও অন্যতম একটি।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে বনানী, চেয়ারম্যানবাড়ি, কাকলী এলাকায় হালকা যানজট দেখা যায়। অফিস টাইম হওয়ায় এ সময় যাত্রীদের গাড়িতে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়।
বানানী সড়কে দেখা যায়, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস পৌঁছাতে গন্তব্যের গাড়ি দেখা মাত্রই দৌড় দিচ্ছেন যাত্রীরা। গাড়ি যতক্ষণ না থামছে ততক্ষণ পেছন পেছন ছুটছেন। অনেকে আবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনোরকম হ্যান্ডেল ধরেই লাফিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।
ঠিক ১৫ মিনিট পরেই সোয়া ৭টার দিকে এয়ারপোর্ট থেকে গুলিস্তান, শাহবাগগামী এবং মহাখালী-কাকলী হয়ে এয়ারপোর্টগামী দু’পাশের সড়কেই তীব্র যানজট লক্ষ্য করা যায়।
তবে মূল চ্যালেঞ্জটা শুরু হয় সকাল ৮টার দিকে, যখন অফিসগামী মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। এ সময়টায় বিভিন্ন সড়কে যানজটে আটকে থাকার কারণে গণপরিবহনের সংখ্যাও কমে যায়। তাই যে দু’চারটি গাড়ি আসতে দেখা যায় তার সবগুলোতেই বাদুর ঝোলা হয়ে আসছেন অফিসগামীরা। আর এতে মাঝপথের যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে।
এদিকে অফিস টাইম হওয়ায় সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকে। আর বনানী, চেয়ারম্যানবাড়ি, কাকলী সড়কের বিভিন্ন স্থানে গণপরিবহনগুলো রাস্তায় আড়াআড়ি করে অবস্থান করায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
এসব গণপরিবহগুলো যাত্রী ওঠানোর নামে প্রতিটি স্পটে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করছে। ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও যানজট দূর করতে তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।
বনানী ফুটওভার ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাসান আহমেদ। তিনি জানান, প্রতিদিন সকালে ধানমন্ডিতে অফিসে যেতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সকালে একটা গাড়িতেও ওঠার মতো অবস্থা থাকে না। আব্দুল্লাহপুর, গাজীপুর থেকেই গাড়ি পরিপূর্ণ হয়ে আসে। এতে অফিসে যেতে আমাদের মাঝে মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট দেরি হয়।
পাশেই আরেক যাত্রী রাশেদুল ইসলাম জানান, এই রোডে যেসব পাবলিক গাড়ি চলাচল করে সেসব গাড়িতে যাত্রীর চাপের কারণে ওঠাই মুশকিল। এ সড়কে তিনি ভালো মানের গণপরিবহনের দাবি জানান।
**বনানীতে জীবন হাতে নিয়ে রাস্তা পারাপার
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
এসএম/জেডএস