রাজশাহী: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৫) ঘরে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসী ওই শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।
বুধবার (২ নভেম্বর) রাতের ঘটনা এটি। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গোদাগাড়ী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষকের নাম শহিদুল ইসলাম (৩৮)। তিনি উপজেলার দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নির্যাতিত ওই ছাত্রী একই স্কুলে পড়াশোনা করে। তার বাড়ি উপজেলার বালিগ্রামে।
অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক উপজেলার জাহানাবাদ গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে। বুধবার রাতে শহিদুল ইসলাম ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারের বরাত দিয়ে গোদাগাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল লতিফ বাংলনিউজকে বলেন, বুধবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা পাশের গ্রামে ইসলামী জলসা শুনতে যান। বাড়িতে ওই স্কুলছাত্রী একাই ছিলো। রাত ৯টার দিকে শিক্ষক শহিদুল ইসলাম প্রাচীর টপকে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
ঘটনার পর তার পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে গেলে এলাকাবাসীর সহায়তায় শিক্ষক শহিদুলকে আটক করা হয়। এসময় গ্রামের লোকজন তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। রাতেই থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নেয়।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরেই শিক্ষক শহিদুলকে আদালতের পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া নির্যাতিত ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান গোদাগাড়ী থানার ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
এসএস/জিপি/এএ