কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) থেকে: দিনের ব্যস্ত সময়ে নিরব থাকে চুনকুটিয়া বাজার। বাজারের কোথাও দেখা মেলে না নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির।
সন্ধ্যার পর থেকেই ব্যস্ত হতে শুরু করে ঢাকা মাওয়া সংযোগ সড়কের পাশে কেরানীগঞ্জ উপজেলার চুনকুটিয়া চৌরাস্তা এলাকার ওই বাজারটি।
মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে চুনকুটিয়ার ওই বাজারটিতে।
বাজারের উত্তরপাশে তরকারি ও শাক-সবজির দোকান। মাঝে ফল ও মুরগি এবং দক্ষিণ পাশে বসে মাছের দোকান। দিনে কর্মব্যস্ত মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীর দ্রব্যাদির একমাত্র ভরসাস্থল বাজার হিসেবেই পরিচিত রাতের ওই চুনকুটিয়া বাজারটি।
চুনকুটিয়া বাজারের মাছ বিক্রেতা আজিজুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে সন্ধ্যার পরই মূলত বাজার জমে উঠতে শুরু করে। এখানে রাত ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়।
চুনকুটিয়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিন আমরা হেঁটে হেঁটে উপজেলার বিভিন্ন মহল্লায় মুরগি বিক্রি করি। আর রাতের অবসর সময়ে এ বাজারে মুরগি বিক্রি করার সুযোগ পেয়ে অধিক মুনাফার সুযোগ পাই।
চুনকুটিয়া এলাকার বাসিন্দা নবী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিন অফিস করে বাজার করার সময় থাকে না। চুনকুটিয়া বাজারটি রাতে হওয়ায় আমাদের জন্য খুব সুবিধা হয়েছে। অফিস শেষে বাজার করে বাসায় ফেরা যায়। বাজারের শাক সবজি ও মাছ-মাংস অনেক সতেজ থাকে।
নাজিরেরবাগ এলাকার গার্মেন্ট কর্মী হুসনেয়ারা বেগম বাংলানিউজকে জানান, ভোরে গার্মেন্টে চলে যাওয়ার কারণে সকালে বাজার করার সুযোগ থাকে না। সন্ধ্যার পর ওই রাস্তা হয়েই বাড়ি ফিরতে হয়। এসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনার সুযোগ পাওয়ার কারণে তার জন্য অনেকটাই সুবিধা হয়।
চুনকুটিয়া বাজারের জাকের চা দোকানের মালিক শুকুর আলী বাংলানিউজকে জানান, ছোট বড় মিলে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্য বিক্রির সাথে ওই বাজারে অর্ধ-শতাধিক ব্যবসায়ী জড়িত। বাজারের সব ব্যবসায়ীর বিকিকিনিও খুব ভালো। বাজারের বেশিরভাগ দোকানদারেরা দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা বাণিজ্য করে থাকেন। আর রাতের বেলায় ওই বাজারে ব্যবসার সুযোগ থাকায় অধিক মুনাফার ভালো একটি সুযোগ পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
পিসি/