লক্ষ্মীপুর: মেঘনায় ফের ইলিশ ধরার উৎসব শুরু হয়েছে। প্রজনন মৌসুমের আরোপিত সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে।
বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) ভোরে লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলার মেঘনাপাড়ে খোঁজ-খবর নিয়ে এমনটাই জানা গেছে।
স্থানীয় জেলেরা বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকায় ২২ দিন তারা মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন। শুধু মাছ ধরাই একমাত্র পেশা হওয়া হওয়ায় এ দিনগুলোতে অলস সময় পার করতে হয়েছে তাদের। ফের মাছ ধরা শুরু হয়েছে। আশা করি প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।
রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মা ইলিশ রক্ষায় সরকারি আইন বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগের পাশাপাশি প্রশাসনের ব্যাপক ভূমিকা ছিলো। ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ ও কোস্টগার্ড অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় বরফ কলের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা বিষয়ক সভা-সভাবেশ করা হয়েছে। এতে করে স্থানীয়দের জেলেদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। যে কারণে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ইলিশ রক্ষার অভিযান অনেক বেশি সফল।
কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইব্রাহিম হামিদ শাহিন বাংলানিউজকে বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। এ ২২দিন লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এসময় ইলিশ ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ পরিবহন বাজারজাতকরণ ও মজুত নিষিদ্ধ ছিলো। আরোপিত সরকারি নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহর থেকে মাছ ধরতে শুরু করেছে জেলেরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ বাংলানিউজকে বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ ধরার দায়ে ১০ জেলের জেল ও কয়েক জনের জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে অবৈধ জাল। জব্দকৃত ইলিশ বিতরণ করা হয়েছে এতিমখানায় ও গরিবদের মাঝে। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ফের নদীতে মাছ শিকারে নেমেছে। আশা করি তাদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
পিসি/