ঢাকা: সকাল পৌনে ৭টায় কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঝাড়ু দিতে নেমেছেন সিটি করপোরেশনের ওলি মিয়া। রাস্তায় নেই যানজট।
সকাল ৮টা। পাল্টে গেলো বাসস্ট্যান্ডের চিত্র। সড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে লাগলো। সেই সঙ্গে বাড়তে লাগলো যানজট। এরই কিছুক্ষণ পরই এমন অবস্থা যে কোনো গাড়ি এক চুলও নড়ছে না। বলা যায় ‘তখন কন্ডিশন স্টাকআপ’।
বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিআরটিসি ডিপোর পাশে নাবিল পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার নাফিস জানালেন, শুক্রবার বাদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭ টায় এখানে গাড়ি নড়ে না। আবার একটু সামনে যায় তো থেকে থাকে আরও আধঘণ্টা।
এমন করেই এ সড়কে চলাচল করেন সাধারণ জনগণ। অফিসগামী চাকরিজীবি, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ না পেশার মানুষ।
যানজটের উৎস প্রসঙ্গে পাশের ইবনে সিনা মেডিকেল গেটের দারোয়ান মঈন বলেন, সামনে গিয়ে দেখেন এটা শুরু হয়েছে গণভবনের আগে থেকে। ওইখানে গাড়ি আটকে রেখে দিয়েছে সামনে এগুবে কেমন করে।
তার কথার সত্যতা যাচাইয়ে শ্যামলী মুখে হাটা শুরু। শ্যামলী স্কয়ারের সামনেও মিললো এই যানজট। সবশেষ গণভবন। মঈনের কথাই সত্যি। গণভবনের সামনে থেমে থেমে গাড়ি চলার কারণে দারুসসালাম সড়ক থেকে দেড় থেকে দুই কিলোমিটারের এই যানজট।
সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, মাত্র মিনিট দশেকের ভিআইপি মুভমেন্টের কারণে যে যানজট লাগে সেটি পুরো একঘন্টার যানজটে পরিণত হয়। তবে ১০টার পর এখানে গাড়ি চলাচলটা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
দেখা গেছে, শুধু সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই সময়ে গাবতলী থেকে কল্যাণপুর শ্যামলী, শিশুমেলা সড়কগুলো অনেকটা ‘স্টাকআপ’ কন্ডিশনে চলে যায়। এর মধ্যে লোকাল বাসগুলো যত্রতত্র যাত্রী তুলছে। গাড়ি ধরতে যাত্রীও রাস্তা ধরে ছুটছেন। ফুটপাতে বসে আছে হকাররা।
আবার সিটিং বাসের অপেক্ষায় রাস্তার পূর্বপাশে লাইন ধরে মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। যানজটরে কারণে গাড়ি আসছে না নির্ধারিত সময়ে।
সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান করে এসব চিত্রের দেখা মেলে। শুরুর দিকে গাবতলী থেকে ঢাকামুখী যানজটের চাপ বাড়তে বাড়তে একেবারে দেড় কিলোমিটারের যানজট। এতে শুধু দারুসসালাম থেকে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড পার হতেই ঘন্টাখানেক সময় যাচ্ছে। রাস্তা ফাঁকা থাকলে যেখানে মাত্র ২ মিনিটে চলাচল করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৬
এসএ/আরএইচএস