বগুড়া: এক সপ্তাহে আগে পরিচয় ছিলো আদরী বেগম, এখন জোবায়েদ আহমেদ আকাশ। ঘটা করে আকিকার আয়োজনও করা হয়।
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের বৃ-কুষ্টিয়া ফকিরপাড়া গ্রামে ‘এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১৯ বছর বয়সী আদরী পুরুষ হয়ে গেছে’ -এ খবর চাউর হলে বিস্মিত চোখের ঢল নামে দিনমজুর উল্লাস ফকিরের বাড়িতে। প্রতিদিন হাজার মানুষ তাকে দেখতে ভিড় করছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোতারাব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে শরীরিক কাঠামোতে পরিবর্তন আসতে পারে। আদরীর সম্পর্কে পরীক্ষা-নীরিক্ষা ছাড়া কিছু বলা যাবে না।
উল্লাস ফকিরের দুই ছেলে, এক মেয়ে। প্রায় এক বছরের সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে আদরী এবং পাশের ডেমাজানী গ্রামের করিম সেখের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। তারপর থেকে আদরী বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করে।
আদরীর মা তাছলিমা বেগম বলেন, গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে শুয়ে ছিলো আদরী। হঠাৎ কাঁপুনি শুরু হয়, একই সঙ্গে তীব্র ব্যথা। এরপর থেকে ধীরে ধীরে আদরীর শারীরিক পরিবর্তন শুরু হয়।
তাছলিমা বেগম পুরো ঘটনা আদরীর ফুপা আল-আমিন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল ফকিরকে খুলে বলেন।
আবুল ফকির বাংলানিউজকে বলেন, আমি মেয়ে থেকে ছেলে হওয়া আদরীকে দেখে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি।
এদিকে আদরী ছেলে হওয়ার পর থেকে ফকিরপাড়া গ্রামে চলছে উৎসব আমেজ।
নাম বদলে নতুন নাম রাখতে বৃহস্পতিবার ( ৩ নভেম্বর) দুপুরে এ পুরো গ্রামের মানুষ আকিকা অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
আদরীর বাবার অনুভূতি জানতে চাইলে উল্লাস ফকির বাংলানিউজকে বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় সবকিছু হয়েছে। এতে আমি খুশি। ধর্মীয় বিধান মেনে আকিকা দেওয়া আমার কর্তব্য। স্বজন ও গ্রামবাসীরা আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
এটি