ঢাকা: গাড়ি থামালেন। কিছুক্ষণ চালকের সঙ্গে কথা-বার্তা বললেন।
রাজধানীর বাংলামোটর মোড়ে ট্রাফিক সার্জেন্ট রফিক মিয়ার এমনই আচরণের শিকার হলেন হিমাচল পরিবহনের বাসচালক হাসান মিয়া। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার সময়ের এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে বাংলানিউজও।
তৎক্ষণাৎ হাসান মিয়ার সঙ্গে কথা বলে বাংলানিউজ। তিনি পুরো ঘটনা খুলে বললেন বাংলানিউজকে, “কনস্টেবল হায়দার প্রথমে আমার গাড়ি থামান। তারপর সার্জেন্ট রফিক মিয়া আমার গাড়ির কাগজ দেখাতে বলেন। কাগজপত্র যা ছিলো সবই দেখালাম। তারপর আমাকে আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখাতে বললেন, সেটাও দেখালাম। ”হাসান অভিযোগ করে বলেন, “এতো কিছু দেখানোর পরও সার্জেন্ট শুরু করলেন বিভিন্ন টালবাহানা। বললেন ১০০ টাকা দিলে মামলা দেবেন না আর ঝামেলাও পোহাতে হবে না। কিন্তু আমার সব ঠিক, আমি কেন টাকা দেবো, এ কথা বললে ২০০ টাকার একটা মামলার রিসিপ্ট ধরিয়ে দিলেন আমাকে। ”
এ বাসচালক আক্ষেপ করে বলেন, “যখন সার্জেন্টের কাছে আমি মামলা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলাম। তখন তিনি আমায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা শুরু করলেন। বলতে থাকলেন, ...মামলা নিয়ে দূর হ, নয়তো লাথি মেরে তোর মাজা ভেঙে ফেলবো। ”
এ বিষয়ে সার্জেন্ট রফিক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার গাড়ির কাগজে সমস্যা। আর তার লাইসেন্সেও সমস্যা আছে। ওদের হাজার মামলা দিলেও ওরা ভালো হবে না। ”তাই বলে গালিগালাজ করবেন? এমন প্রশ্নে তিনি ধমকের স্বরে বলেন, “আপনার সমস্যা কোথায়? আমাদের কাজ আমাদের করতে দেন। ঝামেলা করবেন না। আপনার কাজ না থাকলে আসতে পারেন। “
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার মফিজ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
এসজে/এইচএ/