মাগুরা: উৎপাদন খরচ কম, বেশি ফলন ও স্বল্পকালীন চাষযোগ্য হওয়ায় বিনা ধান চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে মাগুরার কৃষকেরা।
তাই বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত নতুন জাতের বিনা ধান ১৫, ১৬ ও ১৭ চাষে ঝুকছেন মাগুরার কৃষকরা।
বিনা’র জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ডের প্রকল্প পরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রচলিত জাতের ধান চাষে সময় লাগে ১৩৫ থেকে ১৪০ দিন। সেখানে বিনা ধান চাষে সময় লাগে ১০৫ থেকে ১১০ দিন।
অন্য ধান চাষে যেখানে দুই থেকে তিনবার সেচ, সার প্রয়োগ করতে হয়। সেখানে বিনা চাষে একবার সেচ, সার দিলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। প্রচলিত সাধারণ জাতের ধানে বিঘা প্রতি ফলন হয় ১৫ মণ আর বিনা ধানে ফলন হয় ২৫ মণ। তাছাড়া বিনা ধানের চালের মান ভালো হওয়ায় বাজার দরও বেশি পাওয়া যায়।
ড. শহিদুলের মতে, বিনা ধান চাষে সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হচ্ছে শর্ট ডিউরেশন। কারণ এ ধান কাটার পর একই জমি থেকে অনায়াসে বাড়তি একটি রবি শস্য জাতীয় ফসল চাষ করে ঘরে তোলা যায়। তাছাড়া যেকোনো আবহাওয়াতে এ ধান চাষ করা সম্ভব।
মাগুরা সদর উপজেলার সত্যিপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তিনি পাট কেটে জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহে দেড় বিঘা জমিতে বিনা ১৬ ও ১৭ জাতের ধান চাষ করেছিলেন। ১০৫ দিনের মাথায় জমি থেকে তিনি পাঁকা ধান কেটেছেন। বিঘা প্রতি তিনি ধান পেয়েছেন ২৭ মণ। ধান লাগানোর পর মাত্র একবার সেচ সার দিয়েই এ ফলন পেয়েছেন। ধান কেটে ওই জমিতে বাড়তি ফসল হিসেবে মসুর ও সরিষা চাষ করছেন তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। যার মধ্যে ২৫ ভাগ জমিতে চাষ হয়েছে স্বল্প জীবনকালীন নতুন জাতের বিনা ধান। স্বল্প সময়ে চাষযোগ্য ও অধিক ফলনশীল হওয়ায় কৃষকরা এ ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। গোটা জেলায় এ ধান চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে কৃষকরা লাভবান হবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬
এজি/পিসি