ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জুড়ি-ফুলতলা সড়কের বেহাল দশা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৬
জুড়ি-ফুলতলা সড়কের বেহাল দশা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জুড়ি থেকে ফিরে: পিচ ভেঙে সংকুচিত হয়েছে পাকা রাস্তা। বাস-ট্রাক মুখোমুখি হলে তা সাইড দেওয়ার জায়গাটুকুও নেই।

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকেন চালক ও যাত্রীরা।

দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় যান চলাচল করছে মৌলভীবাজারের জুড়ি-ফুলতলা সড়কে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন এ রাস্তাটি বহুদিন সংস্কার না হওয়ায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

উপজেলা শহরের সঙ্গে চারটি ইউনিয়নের অন্যতম যোগাযোগ ব্যবস্থা এ সড়কের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার। উপজেলা শহর থেকে শুরু হয়ে সীমান্ত পর্যন্ত রাঘনা বটুলী চেকপোস্টে গিয়ে ভারতের সঙ্গে সংযোগগড়া এ সড়কের করুণ অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে বাংলানিউজের অনুসন্ধানে।

খানাখন্দে ভরা পুরো সড়কে কার্পেটিং উঠে গিয়ে ইট-সুড়কি বেরিয়ে পড়েছে। রাণীমোড়া এলাকায় জুড়ি নদীর পাড় ধসে ক্ষতির সম্মুখীন এই রাস্তা এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এছাড়া সাগরনালের হাফিজিয়া বাজার ও কলাবাড়ি বাজারের মধ্যবর্তী সড়ক ঢালু হয়ে গেছে। ফলে, অল্প বৃষ্টিতেই সড়ক পানির নিচে চলে যায়। তখন যাত্রীরা সড়কের ওপর দিয়েই নৌকায় যাতায়াত করতে পারে।

সড়কের দু’পাশে মাঝে-মধ্যে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এই সড়কে প্রতিদিন কয়েকশ’ ট্রাক, বাস, রিকশা, পিকআপ ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার-১ আসনের সাংসদ শাহাব উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, কয়েক বছর ধরে উপজেলার এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের করুণ অবস্থা। এটি সংস্কারের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

সওজ মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত বাংলানিউজকে জানান, সড়কটির এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু ছোট ছোট সংস্কারের টাকা আমরা পেয়েছি। শিগগিরই টেন্ডার আহ্বান করে কাজ শুরু করবো। পুরো সড়কটির দীর্ঘমেয়াদী টেকসই কাজের জন্যেও প্রচেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৬
এজি/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।