বরিশাল: দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ৪টি লঞ্চ। এমভি পারবত-৯, কালামখান-১, সুন্দরবন-১২ ও সুরভী-৯ নামের এ লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে শনিবার (নভেম্বর ০৫) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের টার্মিনাল ত্যাগ করে।
এ সময় কীর্তনখোলা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ ছিলো। বাতাসের সাথে সাথে বৃষ্টি হচ্ছিলো। তবে লঞ্চগুলোতে তেমন একটা যাত্রী উপস্থিতি ছিলো না।
এদিকে সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ নৌ-বন্দরগুলোতে ২ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ রুটে ৬৫ ফুটের নীচে লঞ্চ চলাচল সকাল থেকে বন্ধ রাখা হয়। পরে বিকেলে অভ্যন্তরীণ রুটের সকল লঞ্চ বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে ঢাকাগামী বহুতল এসব লঞ্চের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় এবং নদী বন্দরগুলোতে সতর্কতা সংকেত না বাড়ায় এগুলো যথানিয়মে ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার।
অবশ্য দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকেই সকল নৌ-যানকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার জানান, গভীর নিম্নচাপটি ক্রমশই দক্ষিণাঞ্চলের দিকে সরে আসছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে (সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) ৪৩ দশমিক ৩ মিলিমিটার। তাছাড়া বাতাসের গতিবেগ বিকেল ৩টার দিকে ছিলো সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৪ এবং সর্বনিম্ন ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে গভীর নিম্নচাপের কারণে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং থেকে ৪নং হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও নদী বন্দরগুলোতে ২নং সতর্কতা সংকেত অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান তিনি। ।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এমএস/আরআই