কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে: শিশু চিকিৎসায় এক অনন্য নাম ডা. এম আর খান। শিশু চিকিৎসা ক্ষেত্রে তার যে অবদান সেটা কখনো অন্য কাউকে দিয়ে পূরণও করা যাবে না।
রোববার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে এমন মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
নাসিম বলেন, শিশু চিকিৎসায় যদি একটি নাম থাকে তাহলে সেটা এম আর খান। কেননা তিনি শিশুদের জন্য এমন কিছু করে গেছেন যা তার মৃত্যুর পরেও তাকে অমর করে রাখবে। শুধু তাই নয়, তিনি ছিলেন শিশু পাগল মানুষ। আর যদি শিশু পাগল না হওয়া যায় তাহলে কখনো শিশু বিশেষজ্ঞ হওয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তরুণ যারা চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছেন তারা এম আর খানকে বুকে ধারণ করবেন। তার আদর্শকে অন্তরে লালন করবেন। তা না হলে তার আদর্শকে টিকে রাখা সম্ভব নয়। তবে আমাদের যারা ভবিষ্যতে ডাক্তার হবেন তাদের অবশ্যই উচিত তার আদর্শে জীবন গড়া।
জাতি তাকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এম আর খান আজ নেই। কিন্তু জাতি তাকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। তার আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবে।
শুধু তাই নয়, শিশু চিকিৎসা ক্ষেত্রে তার যে অবদান সেটা কখনো অন্যকাউকে দিয়ে পূরণও করা যাবে না। মনে রাখবেন, সম্পদ কখনো একাধিক হয় না। আমাদেরও একজন সম্পদ হয়েছিলো আর সেটা হলো এম আর খান। যাকে বিশ্বদরবারে সবাই শিশু পথিকৃত হিসেবে এক নামেই চিনতো।
মন্ত্রী বলেন, আমি এম আর খানের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি এবং তার মাগফিরাত কামনা করছি।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, জাতি আজ এমন একজন চিকিৎসককে হারালো যার শূন্যতায় জাতি বিহ্বল। তার এ ক্ষত আমাদের কাটিয়ে উঠা কষ্টকর। এছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান তাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে।
তিনি আরো বলেন, এম আর খান এমন একজন চিকিৎসক ছিলেন যিনি সব শিশুদের ভালোবাসতেন। তার কাছে ধনী কিংবা গরিব বলে কোনো শব্দ ছিলো না। তাইতো তাকে বলা হতো শিশু চিকিৎসার পথিকৃৎ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এসজে/এএটি/এসএইচ