ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপ ‘নাডা’র ফলে রাজধানীসহ সারা দেশে টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে। আর এই বৈরি আবহাওয়াকে পুঁজি করে অধিকাংশ সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মিটারে না গিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন।
রোববার (০৬ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ও টার্মিনাল এলাকাগুলোতে দেখা গেছে এ নৈরাজ্য। অনিয়মের সত্যতা খুঁজতে পাওয়া যায় বিচিত্র সব তথ্য।
মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত নতুন মিটারের চার্জ অনুযায়ী সিএনজির ভাড়া আসে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, রাস্তা ফাঁকা থাকলে আরও কম। অথচ মহাখালী বাস টার্মিনালের আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা যেকোনো সিএনজিকে গুলশান-১ আসতে বললে, তারা ১৮০ থেকে ২২০ টাকা দাবি করছেন। কারণ হিসেবে বলে বৃষ্টি আর নিন্মচাপে কারণে আজ ও কাল এ দু’দিন মিটারে যাবো না।
এ প্রসঙ্গে আপেল মাহমুদ (২৫) নামের একজন ভুক্তভোগী বাংলানিউজকে বলেন, কল্যাণপুর থেকে মোহাম্মদপুরে দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটার। সে হিসেবে সরকারের নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাড়া গুণতে হবে ৭৫ টাকা। সঙ্গে ১০ মিনিটের যানজট ধরলে সবমিলে ভাড়া ১০০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আবহাওয়া খারাপের জন্য মিটারে যেতে নারাজ অটোরিকশা চালক। কল্যাণপুর থেকে মোহাম্মাদপুরে যাওয়ার জন্য দুইজন চালকের সঙ্গে কথা বললে ২৫০ টাকার নিচে যেতে রাজি হননি।
আনোয়ার (৩০) নামের এক অটোরিকশা চালক বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই বৃষ্টির দুইদিন প্রচুর যাত্রীর চাপ তাই ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছি। দুইদিন পর তো আবার আগের মতোই হয়ে যাবে। ঘূর্ণিঝড় তো আর সারা জীবন থাকবে না’!
এদিকে বিআরটিএ-এর যুগ্মসচিব মুহাম্মদ শওকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের বিষয়টা আমাদের কাছেও এসেছে। ইতিমধ্যে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তারা প্রতিদিন বেশ কয়েকটি আদালত পরিচালনা করছেন। আমরা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নজর রাখার চেষ্টা করছি।
উল্লেখ সিএনজি চালিত অটোরিকশা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও মিটারে না যাওয়ার অভিযোগ জানানোর জন্য বিআরটিএর ৪টি ফোন নম্বর গাড়ির পেছনে দেওয়া থাকলেও অফিস চলাকালীন সময়ে তা বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৬
এসটি/জিপি/বিএস