ঢাকা: এই প্রথম সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে আসন নিলেন ওবায়দুল কাদের। কাউন্সিলে সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরও এতোদিন ধানমন্ডি কার্যালয়ে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারটি খালি ছিলো।
সম্মেলনের তিন সপ্তাহ পর রোববার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ আসন পেতে বসলেন তিনি। তবে সাধারণ সম্পাদক হয়ে এতোদিন দলের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সক্রিয় ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদেরের একান্ত দলীয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, চট্রগ্রাম থেকে দলীয় ও সরকারি সফর শেষে আজই ফেরেন তিনি। এরপর সন্ধ্যার ঠিক আগে দলের অফিসে যান। সেখানে সাধারণ সম্পাদকের কক্ষটি নতুন করে গোছানো হয়। আনা হয় নতুন চেয়ার।
তবে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিন তাকে দলের অফিসে দেখা গেছে। একই সঙ্গে মন্ত্রী হিসেবে সরকারি কাজেও ব্যস্ত ছিলেন। দু’দিন আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসেন ওবায়দুল কাদের।
পার্টি অফিস সূত্র জানায়, ধানমন্ডি অফিসে সাধারণ সম্পাদকের আগের চেয়ার বদলে নতুন চেয়ার নিয়ে আসা হয়েছে। কক্ষে অন্যান্য সোফা ও সাজসজ্জা নতুন করা হয়েছে।
তার আগে সংক্ষিপ্ত মিলাদ ও দোয়া পড়ানো হয়। এতে দল দেশ ও দলের সভানেত্রীসহ সব নেতাকর্মীর জন্য দোয়া করা হয়।
এ সময় এক প্রতিক্রিয়ার ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুর রাজ্জাকের দেওয়া বক্তব্য তার ‘নিজের বক্তব্য’ উল্লেখ করে বলেন, এটা দলের বক্তব্য নয়।
এদিকে, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর রেকর্ড সংখ্যক ফুলেল শুভেচ্ছা পেতে দেখা গেছে ওবায়দুল কাদেরকে।
তার ভেরিফাইড ফেসবুক পাতায় দেখা গেছে, সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ফেসুবকে দুটি বিশেষ শিরোনামে ১৩ টি আল্যাবাম সাজিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। সব ফুলের ছবি সেই অ্যাালবামগুলোতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। । আল্যাবাম দুটির একটির নাম দিয়েছেন ‘লাইফ ইজ মাই স্কুল’ অন্যটি ‘হিউম্যানিটি ইজ মাই বুক’।
এর মধ্যে ‘লাইফ ইজ মাই স্কুল’ শিরোনামে ৮টি অ্যালবামে হাজার খানেক ছবি আপলোড করা হয়েছে। আর ‘হিউম্যানিটি ইজ মাই বুক’ নামে’ ৪ টি আলব্যামে আছে আরও ৫ শতাধিক ছবি।
তবে ফুল নিয়ে বরাবরই ওবায়দুল কাদের কবিতার ভাষায় বলেন, ‘যদি কাগজে লেখো নাম, কাগজ ছিঁড়ে যাবে/ পাথরে লেখো নাম, পাথর ক্ষয়ে যাবে/ হৃদয়ে লেখো নাম, সে নাম রয়ে যাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৬
এসএ/আরএইচএস