ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সীমানা ঘেঁষে যে ক’টি থানা রয়েছে তার একটি মুগদা। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হলেও বর্তমানে এ থানা এলাকায় বড় ধরনের অপরাধ নেই।
থানা সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসে গড়ে ২৫টি মামলা হয় এ থানায়। নভেম্বর মাসে মামলা হয়েছে ৩২টি। তার মধ্যে মাদকের মামলাই ২২টি। সে হিসেবে নভেম্বর মাসের ৭০ ভাগ মামলাই মাদকের।
মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে অধিকাংশ মামলাই মাদকের। তবে এ এলাকায় মাদকের বড় কোনো চালান বা স্পট নেই। মাদকে যেসব মামলা হয় খুবই কম সংখ্যক গাঁজা ও ইয়াবার। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্সের কারণে এখানে মাদকের কোনো স্পট নেই।
রেললাইনের কিছু এলাকা মুগদা থানার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় ওই জায়গাগুলোতেই মাদকের বেশি উৎপাত বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, একসময় জমিদখল মূল সমস্যা ছিল এ এলাকায়। তবে এখন আর তেমন সমস্যা নেই। এছাড়া, ঘনবসতি ও অধিকাংশই নিন্মবিত্ত মানুষের বসবাস এই থানায়। তাই নারী নির্যাতনের কিছু ঘটনা ঘটে এখানে।
কমলাপুর ফুটওভার ব্রিজের কাছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে মানিকনগর ক্রসিং, পূর্বে মানিকনগর ঝিলপাড় বালুর মাঠ, মান্ডা আমিন মোহাম্মদ গ্রিন মডেল টাউন ও উত্তরে মদিনাবাগ ওয়াসা রোড পর্যন্ত থানাটির সীমানা। থানার এলাকাগুলো আগে সবুজবাগ থানার আওতাধীন থাকলেও এসব এলাকা নিয়ে ২০১২ সালে নতুন করে মুগদা থানার যাত্রা শুরু হয়।
বিশ্বরোড থেকে মান্ডার দিকে খানিকটা গেলেই রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে মুগদা থানার অবস্থান। শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, একটি চারতলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় চলছে থানার কার্যক্রম। দ্বিতীয় তলায় ডিউটি অফিসার, ওসির রুম। তৃতীয় তলায় পরিদর্শক ও উপ-পরিদর্শকদের জন্য রুম রয়েছে। তৃতীয় তলার পেছনের দিকেই থানার উপ-পরিদর্শক ও স্টাফদের থাকার স্থান।
২০১২ সালে মুগদা থানাটি যাত্রা শুরু করলে তৎকালীন মুগদা কমিউনিটি সেন্টারে শুরু হয় এর কার্যক্রম। এরপর ৪ বছর ধরে ওই ভাড়া বাসাতেই চলছে সব কার্যক্রম।
এ বিষয়ে থানার ওসি এনামুল হক বলেন, আমরা থানার জন্য ইতোমধ্যে জায়গা বরাদ্দ পেয়েছি। আশা করছি শিগগিরই থানাটি স্থানান্তর করা সম্ভব হবে। নতুন থানা হিসেবে তাড়াতাড়িই জায়গা পাওয়া গেছে বলে মনে করেন তিনি।
সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থানায় অবস্থান করে পুলিশের নিজস্ব কাজ ছাড়া কোনো ভুক্তভোগী কাউকে সাহায্য নিতে আসতে দেখা যায়নি।
থানা সূত্রে জানা যায়, ৪টি বিটে বিভক্ত এই থানায় নিয়মিতই বিট পুলিশিংয়ের কার্যক্রম চলে। প্রতিদিন প্রত্যেকটি বিটের আওতায় উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
টহল দেওয়ার জন্য এ থানার নিজস্ব ৬টি যানবাহন রয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, এই গাড়িতেই কাজ হচ্ছে। মাঝে মধ্যে যদি কখনো প্রয়োজন হয় তখন বাইরে থেকে ভাড়া নেওয়া হয়।
ডিএমপির ভাড়াটিয়া ফরমের ব্যাপারে ওসি এনামুল হক বলেন, আমরা পুরো থানায় প্রাথমিকভাবে সাড়ে ৫৪ হাজারের মতো ফরম বিতরণ করেছি। ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ১০ হাজার ফরম অনলাইনে এন্ট্রি করা হয়েছে। প্রতিনিয়তই নতুন ফরম এন্ট্রি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
পিএম/জেডএস