ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিমান বাহিনীর মূলমন্ত্র ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’

শেখ জাহিদুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
বিমান বাহিনীর মূলমন্ত্র ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’ উন্নয়ন মেলায়-২০১৭ বিমান বাহিনীর স্টল/ছবি: দীপু মালাকার

উন্নয়ন মেলা ঘুরে: তিনটি বিমান, নয়জন পাইলট ও সাতচল্লিশজন বিমানসেনা নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আসামের দিমাপুরে ২৮ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ১৬ হাজার ৪৮৯জন বিমানসেনা নিয়ে দক্ষ ও চৌকস বাহিনী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত উন্নয়ন মেলায়-২০১৭ বিমান বাহিনীর স্টলে তুলে ধরা হয়েছে তাদের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র।

তিনদিনব্যাপী এ মেলার প্রতিপাদ্য বিষয় ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’।

বিমান বাহিনীর স্টলে কথা হয় শিক্ষার্থী হুমায়রা জান্নাতের সঙ্গে। রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থী তিনি। তার ইচ্ছা ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীর গর্বিত সদস্য হওয়া। তাই এখন থেকেই বিমানের ওপর জ্ঞান অর্জন করে চলেছেন তিনি। সরকারের উন্নয়ন রূপকল্পের উন্নয়ন মেলায় বিমান বাহিনীর স্টলে বিমানের বিভিন্ন যন্ত্রের সঙ্গে নিজেকে পরিচিতি করছেন।
উন্নয়ন মেলায়-২০১৭ বিমান বাহিনীর স্টল/ছবি: দীপু মালাকার

বিমান বাহিনীর স্টলের দায়িত্বে থাকা বিমানের উইং কমান্ডার ফয়সাল বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ৬৬টি উড়োজাহাজ।

বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজি-১ এবং এফটি-৭ বিজি-১ যুদ্ধবিমান ক্রয় করা হয়েছে চীন থেকে। রাশিয়া থেকে এমআই ১৭ হেলিকপ্টার, চেকপ্রজাতন্ত্র থেকে এল-৪১০, পিটি-৬ ও চীন থেকে কে-৮ প্রশিক্ষণ বিমান ক্রয় করা হয়েছে। ২০১৫ সালে অত্যাধুনিক ডিজিটাল যুদ্ধবিমান ফ্লাই বাই ওয়ার যুক্ত ইয়াক-১৩০ ক্রয় করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বিমান বাহিনীর মেরিটাইম সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ইতালি থেকে ক্রয় করা হয়েছে অগাস্টা-১৩৯ হেলিকপ্টার।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ১৫ শতাংশ নারী সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট বিমান বাহিনী একাডেমি’র ১৮ নম্বর বহরে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম ২জন নারীকে বৈমানিকের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ১০জন নারী বৈমানিক সফলতার সঙ্গে বিমান প্রশিক্ষণ, পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ভবিষ্যতে নারী বৈমানিকের সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনাও রয়েছে বিমান বাহিনীর।
উন্নয়ন মেলায়-২০১৭ বিমান বাহিনীর স্টল/ছবি: দীপু মালাকারবাংলাদেশের আকাশ সীমায় যেনো কোনো শত্রু বিমান প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৭টি এয়ার ডিফেন্স রাডার ও ৩টি এটিএস রাডার সার্বক্ষণিক দেশের আকাশসীমা পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া ১৯৯৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। অন্যদিকে ১৯৯৫ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যেখানে মাত্র ৫০০ ঘণ্টারও কম সময় উড্ডয়ন করতো দুই দশকের ব্যবধানে তা ছয়গুণ সময় বৃদ্ধি হয়ে এখন প্রায় ৩ হাজার ঘণ্টার কাছাকাছি সময় উড্ডয়ন করছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
এসজে/ওএইচ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।