ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঘুষ নেওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মকর্তা আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
ঘুষ নেওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মকর্তা আটক শরীয়তপুরে ঘুষ নেওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের ২ কর্মকর্তা আটক

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে ঘুষের টাকা নেওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের দুই কর্মকর্তাকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টার সময় শরীয়তপুর শহরের সুরুচী হোটেল থেকে ঘুষের টাকাসহ তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন-মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মজুমদার মো. মাহফুজুর রহমান ও ভোলা জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উচ্চমান সহকারী মো. সাজ্জাদুল ইসলাম।

মজুমদার মো. মাহফুজুর রহমান শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার লাকার্তা গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিন মজুমদারের ছেলে এবং মো. সাজ্জাদুল ইসলাম বরিশালের মুলাদী উপজেলার পাতারচর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১ ডিসেম্বর দিবাগত গভীর রাতে শরীয়তপুর শহরের পুরান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকার মালামালের ক্ষতি হয় বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে তুলি ফার্নিচার এ-স্টিল, মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আরিয়ান এন্টারপ্রাইজের নামে বীমা করা ছিল। পরবর্তীতে বীমার টাকা পাওয়ার জন্য ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত রিপোর্টের প্রয়োজন হলে ক্ষতিগ্রস্তরা শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ে যোগাযোগ করে।

শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মজুমদার মো. মাহফুজুর রহমান। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিবেদনের জন্য মজুমদার মো. মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে বীমার দাবি করা টাকার ৩ শতাংশ হারে ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।

ক্ষতিগ্রস্তরা প্রায় দেড় মাস ধরে মজুমদার মো. মাহফুজুর রহমানের পিছে ঘুরে ঘুষ ছাড়া প্রতিবেদন (ক্লিয়ারেন্স) না পেয়ে নিরুপায় হয়ে ঘুষের দাবির কিছু টাকা দিতে রাজি হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শরীয়তপুর শহরের সুরুচী হোটেলে ঘুষের টাকা লেনদেনের কথা ছিল। এসময় ২৫ হাজার টাকাসহ মজুমদার মো. মাহফুজুর রহমান ও মো. সাজ্জাদুল ইসলামকে আটক করে দুদক ফরিদপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক ও সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন সহ ৫ সদস্যের একটি দল।

পরে দুদক ফরিদপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে আটক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

আটক কর্মকর্তাদের শরীয়তপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

দুদক ফরিদপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দর্নীতি দমন আইনে পালং থানায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।