শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ছুটির দিন থাকায় সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ স্বপরিবারে মেলায় আসেন।
এদিকে ছুটির দিন উপলক্ষে সন্ধ্যায় মেলায় আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
মেলার আগত দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেলার সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতিতে তারা সন্তুষ্ট। মেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে মেলার ভেতরে ও বাইরে খাবারের দোকানগুলোর অস্বাভাবিক দাম নিয়ে দর্শনার্থীদের অভিযোগ সীমাহীন।
মেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৫৪ জন কারুশিল্পী মেলায় অংশ নিচ্ছেন। তাদের জন্য ২৭টি স্টল বরাদ্দ রয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁ ও মাগুরার শোলা শিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি ও মুখোশ, চট্টগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁওয়ের হাতি ঘোড়া পুতুল ও কাঠের কারু শিল্প, নকশিকাথা, বেতের কারুশিল্প, মুন্সিগঞ্জের শীতল পাটি, ঠাকুরগাঁয়ের বাঁশের কারুশিল্প, কুমিল্লার তামা-কাঁসা পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও সিলেটের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারু পণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটা শিল্পসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার মৃৎশিল্প বিভাগের মাটির কারুশিল্প এ মেলায় স্থান পাচ্ছে।
এছাড়াও মেলায় গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম ‘মৃৎশিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন’ শিরোনামে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। ঢাকা ও রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জন শিল্পী এ প্রদর্শনীতে অংশ নেবেন।
মেলায় কর্মরত কারু শিল্পীর কারু পণ্য উৎপাদন প্রদর্শনীর ২৭টি স্টলসহ সর্বমোট ১৯৩টি স্টল থাকবে। এদের মধ্যে হস্তশিল্প-৪৬টি, পোশাক-৪৩ টি, স্টেশনারি ও কসমেটিকস-৩৫টি, খাবার ও চটপটির স্টল-২৫টি,মিস্টির স্টল-১৭টি।
এছাড়াও লোক কারু শিল্প মেলা ও লোকজউৎসবে লোকজ নাটক, লোক কাহিনীর যাত্রাপালা, বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান,লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান প্রতিদিনি হচ্ছে।
১৪ জানুয়ারি এ মেলা শুরু হয়, চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৭
বিএস