বুধবার (জানুয়ারি ২৫) রাজধানীর বনানী লেকপাড়ে গুলশান-বনানী-বারিধারা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তৎকালীন সরকারের অনুমতি নিয়ে নির্মিত এসব ভবন এখন আর উচ্ছেদ করা সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন গণপূর্ত মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই লেকগুলো অনেক বড় ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পরে যারাই ক্ষমতায় এসছে তারাই লেক দখল করে আসছে। জিয়া, খালেদা এরশাদের আমলেই এসব লেক ভরাট হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গুলশানের আজাদ মসজিদ এক সময় লেকের পাড়ে ছিল। এ সময় তিনি বনানী লেকের পাড়ে অবস্থিত বিএনপি নেতা ড. মোশাররফ হোসেনের বাড়িটি দেখিয়ে বলেন, এসবই ছিল লেক। ক্ষমতায় থাকার সুবিধা নিয়ে তারা লেক ভরাট করে বাড়ি করে ফেলেছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার জলাধার, স্রোতাধার রক্ষার দায়িত্ব নেন বলে জানান মোশাররফ হোসেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী লেকের উন্নয়ন কাজ ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের বলেন, এই লেকে মানুষের বর্জ্য ভেসে বেড়াচ্ছে। এই বর্জ্য নির্দিষ্ট পাইপে নিষ্কাশনের দায়িত্ব ওয়াসার। রাজউকের নয়। অথচ তারা এ বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় লেকের পানি নোংরা হচ্ছে।
তিনি জানান, লেককে পরিবেশবান্ধব করতে রাজউক লেকের পাশেই একটি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে পানিগুলোকে পরিষ্কার করা হবে। সেই পানি হাতিরঝিলে যাবে।
লেক ও জলাশয় দখল প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাতিরঝিলে বিজিএমএ ভবনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় জয়ী হয়েছি। নিজস্ব খরচে ওই ভবনটি বিজিএমইএ-কে ভাঙতে হবে। অন্যথায় তিনমাস পেরিয়ে গেলে আমরাই নিজস্ব পদ্ধতিতে ভবন ভাঙা শুরু করবো। এতে যা খরচ হবে, তা বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকেই পরিশোধ করতে হবে।
লেকের পাড়ে অবস্থিত যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর নামে বরাদ্দ বাতিল হওয়া বাড়িটিও সরকার দখলে নেবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, রাজউকের নতুন প্রকল্পগুলোতে নিজস্ব এটিপি-তে পয়ঃনিষ্কাশন ও কঠিন বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এটি আধুনিক প্রক্রিয়া। এর ফলে ময়লা নেওয়ার জন্য ওয়াসা বা সিটি কর্পোরেশনের জন্য বসে থাকতে হবে না। এখনো বিভিন্ন লেক দখলের যে চেষ্টা চলছে তা কঠোরভাবে দমন করার হুঁশিয়ারি দেন মোশাররফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
জেপি/আরআই