বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে রিনাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ রিনা আক্তার উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের মণ্ডলেরগাতী গ্রামের আরব আলীর মেয়ে।
এ ঘটনায় বখাটে সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ। সোহাগ কৈলাটি ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের কালা চাঁন মিয়ার ছেলে।
রিনার মামা আমিনুল ইসলাম ও সোনা মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সোহাগ ও তার পরিবারের সদস্যরা রিনাকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সোহাগ অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপরও সোহাগ রিনাকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে সোহাগ রিনার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে।
নেত্রকোনা হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বাংলানিউজে জানান, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রিনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসিডে তার মুখের বামপাশ ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নেত্রকোনা থানার পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) খাঁন মোহাম্দ আবু নাসের বাংলানিউজকে জানান, সোহাগকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
এনটি/আরএ