বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার হোটেল নীলাঞ্জনার মিলনায়তনে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়।
এসময় অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাকশন এইডের ল্যান্ড অ্যান্ড ওয়াটার রাইটস ম্যানেজার শমসের আলী।
বিভিন্ন দেশীয় গবেষণা, মানবাধিকার, নদীর অধিকার এবং ওয়াটার কমন্সের উদ্দেশ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অব এমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টের চেয়ারম্যান ম ইনামুল হক, এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মো. নুরুল আলম, নেপালের মহিলা আধিকার মঞ্চের উপদেষ্টা সাবিত্রি পোখরেল এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাসের নির্বাহী পরিচালক রহিমা সুলতানা কাজল প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, পৃথিবীর পাঁচ ভাগের তিনভাগ পানি হলেও সুপেয় ও মিষ্টি পানির পরিমাণ মাত্র দুই দশমিক পাঁচ ভাগ। যা পৃথিবীর সাতশ চল্লিশ কোটি জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ ও ভারসম্য রক্ষা করছে। আর মিষ্টি পানির প্রায় নব্বই ভাগই আসছে নদী থেকে। পৃথিবীর প্রায় দেড়শ’ নদী বা উপনদী রাজনৈতিক সীমানা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক কোনো কোনো নদীর একাধিক স্থানে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। যার প্রভাবে উজানে বিভিন্ন স্থানের সাধারণ জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অংশ বন্যা বা খরায় আক্রান্ত হয়ে শুকিয়ে গেছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মানুষের মুনফালোভী উদ্যোগ ও এককেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনাকে।
বক্তারা আরও বলেন, পানির কৃত্রিম সংকটের ফলে নদীপাড়ের মানুষ হারাচ্ছে তাদের জীবিকা। হুমকির মুখে পড়ছে জীববৈচিত্র্য। বৃদ্ধি পাচ্ছে লবণাক্ততা। মেরে ফেলা হচ্ছে, অথবা মরে যাচ্ছে নদী। মানুষ হারাচ্ছে পানির অধিকার।
সম্মেলনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা বাজারে স্থানীয় জনগণ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বক্তব্য রাখবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
এমএস/আরবি/আরএ