বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের মানিকদাহ হাউজিং-এর রোভার মুটের বঙ্গবন্ধু এরিণায় রোভার মুট স্থানীয় ব্যবস্থাপনা উপ-কমিটি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে এ রোভার মুটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং একাদশ জাতীয় রোভার মুট সংগঠনিক কমিটির সভাপতি মো. শাহ কামাল।
এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ স্কাউটের জাতীয় কমিশনার (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) সরোয়ার মোহাম্মদ শাহরিয়ার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় রোভার মুট চলবে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনুষ্ঠানটি সফল করতে কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে।
তিনি আরও বলেন, সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত এ রোভার মুটে সার্কভুক্ত দেশ ও এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ও বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ১০ হাজার রোভার স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক রোভার ও কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
অংশগ্রহণকারী রোভার স্কাউটসরা এই সাত দিনে মুটের ১৫টি আকর্ষণীয় ও চ্যালেঞ্জিং প্রোগ্রাম করবে। তার মধ্যে- সুস্থ দেহ সুন্দর মন, তাবু কলা, জল তরঙ্গ, বাধা পেরিয়ে, অজানার পথে, আনন্দ খেলা, মানুষ মানুষের জন্য, যাবো বহুদূর, জিডিভি, আমার দক্ষতা, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ, আমরাও পারি, তাবু জলসা, শান্তি ও সম্প্রীতি, আমার সময় ইত্যাদি এবং গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ভিলেজে অংশ নিয়ে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করবে ও নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করবে।
মুট চলাকালে প্রতিদিনই একটি করে ভিলেজ হাইক করে রোভার স্কাউটসরা টুঙ্গীপাড়া যাবে। সেখানে একদিন একরাত অবস্থান করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধীস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে স্থানীয় গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বীজ বিতরণ ও সবজি বাগান, গবাদী পশু পাখির স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, মশারি ব্যবহার, হাত ধোয়া, খাবার সংরক্ষণ, জৈব সার, বন্ধু চুলা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়, ভূমিকম্প ও বজ্রপাতে করণীয়, শিশু সুরক্ষা, ইভটিজিং, ভাঙা রাস্তা মেরামত ইত্যাদি বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও হাতে কলমে কাজ করবে। অনুষ্ঠানকে সফল করতে সব ধরনের ব্যবস্থাই ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
একাদশ জাতীয় রোভার মুটের ভেন্যু গোপালগঞ্জ জেলা সদরের মানিকদাহ হাউজিং এলাকায় মুটের মূল এরিণা এবং টুঙ্গীপাড়া ক্যাম্প ইন ক্যাম্প হবে। জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে বঙ্গবন্ধুর যে আহ্বান ছিল তা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য মুটের মূল এরিণার নাম করণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু এরিণা’ এবং ক্যাম্প ইন ক্যাম্পের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনীর নামে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেসা ক্যাম্প’।
এছাড়া রোভার মুটের সমগ্র এলাকায় ৪টি ভিলেজের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় ৪ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানের নামে ভিলেজের নামকরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জাতীয় কমিশনার রফিকুল ইসলাম, জাতীয় কমিশনার উন্নয়ন মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, নির্বাহী পরিচালক আরশাদুল মোকাদেছসহ স্কাউট নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
এজি/আরএ