ঢাকা, রবিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কাজী রকিবউদ্দীন বিদায় নিলেও থাকবেন এক কমিশনার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৭
কাজী রকিবউদ্দীন বিদায় নিলেও থাকবেন এক কমিশনার

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিতে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার। এর মধ্যদিয়ে শুরু হলো পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের মূল প্রক্রিয়া।

সার্চ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. সাদিক, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীন আখতার।
 
এ কমিটি সর্বোচ্চ পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন নিয়োগে নাম প্রস্তাবের জন্য খুবই কম সময় পাচ্ছেন।

এরপর আবার তাদের প্রস্তাবনা থেকেই রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। এরপর রয়েছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সবমিলিয়ে সময় হাতে রয়েছে ১৫ দিন। কেননা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদসহ অন্য তিন নির্বাচন কমিশনারকে বিদায় নিতে হবে। তারা ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
 
এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেবল নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ। তিনি ওই বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন। ফলে তিনি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একই পদেই থাকছেন।
 
এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তারা বাংলানিউজকে বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদকাল হবে দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক পাঁচবছর। যে নির্বাচন কমিশনার যে তারিখে দায়িত্ব নিয়েছেন, পাঁচবছর পর সেই একই তারিখের আগের দিন তার মেয়াদ পূর্ণ হবে। তাই সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক, আবু হাফিজ ও জাবেদ আলীর শেষ কর্মদিবস কাটবে ৮ ফেব্রুয়ারি। আর কমিশনার শাহ নেওয়াজ থাকবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
 
এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি সিইসিসহ তিন নির্বাচন কমিশনার মেয়াদ পূর্ণ করবেন। আর একজন মেয়াদ পূর্ণ করবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। এক্ষেত্রে বিদায় অনুষ্ঠান কবে হবে, তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ঠিক করা হবে। তবে এর আগে বর্তমান নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে। এজন্য ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সময় চাওয়া হয়েছে। যেদিন যেখানে সময় পাওয়া যাবে সেভাবে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হবে।
 
কাজী রকিব কমিশনের এটাই হবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ। এতে তারা ৫ বছরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরবেন।
 
নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ এ বিষয়ে বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি সিইসিসহ অন্য সহকর্মীরা মেয়াদ পূর্ণ করলেও আমাকে আরও কিছুদিন থাকতে হবে।
 
এদিকে ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এবার একজন নারী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সম্ভবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে যার নাম বেশি শোনা যাচ্ছে তিনি ইসির সদ্য বিদায়ী অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী। যুদ্ধ বিধস্ত আফগানিস্তানে যিনি নির্বাচন সম্পন্ন করা ছাড়াও সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন করে বেশ সুনাম অর্জন করেছিলেন। গত পাঁচবছরে উপ-সচিব থেকে যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে তিনি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।