ঢাকা, রবিবার, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

‘সার্চ কমিটি নিয়ে বিরোধিতা করলে বিএনপিরই বিপদ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
‘সার্চ কমিটি নিয়ে বিরোধিতা করলে বিএনপিরই বিপদ’

ঢাকা: সার্চ কমিটি নিয়ে বিরোধিতা করলে বিএনপিরই বিপদ হবে, এমন মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। 

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তোফায়েল বলেন, রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেছেন।

সেটিকে আমার নিরপেক্ষ মনে হয়েছে। এ সার্চ কমিটিকে বির্তকিত করা বিএনপির উচিত হবে না।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটির গেজেট প্রকাশ করে সরকার।

কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কাজই বিরোধিতা করা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপি তাদের কথা জানিয়েছে। তারা ওই সময় উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছে। কিন্তু এখন আবার রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই যাবে। এটি আমার বিশ্বাস। তাদেরকে যেতেই হবে। গত নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপির অনেক ক্ষতি হয়েছে। প্রকাশ্যে তারা এ কথা না বললেও অনেকের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ হলে তারা তা স্বীকার করেন।

সুতরাং তারা আগামী নির্বাচনেও আসবে। শুধু শুধু সার্চ কমিটিকে বিতর্কিত করে তারাই বিপদে পড়বে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যা করি তারই বিরোধিতা করে বিএনপি। কোথা থেকে লোক এনে সার্চ কমিটি করবেন। সেটাইতো বিরোধিতা করবে তারা। তারা যদি রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো প্রস্তাব দিতেন, আর ওই প্রস্তাব থেকে যদি রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করতেন তাহলে তারা বিরোধিতা করতো না। কিন্তু এটা তো বাস্তবসম্মত হতো না।

জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জাপানে বাংলাদেশ ১ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য করছে। আর জাপান বাংলাদেশে বাণিজ্য করছে ১. ৬ বিলিয়ন ডলার। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এখন ২.৫ বিলিয়ন ডলার। এর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।

জাপান দু’টি পণ্য- অস্ত্র এবং লেদার হ্যান্ড গ্লোভস ছাড়া সব পণ্যের কোটা সুবিধা দিয়েছে। এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেও বিনিয়োগ করছে জাপান। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো।  

জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবি  বলেন, হলি আর্টিজানের পর পুলিশ এবং বাংলাদেশ সরকার যেভাবে জাপানি ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের নিরাপত্তায় পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি প্রশংসার দাবিদার। এখন আর কোনো ব্যবসায়িক ঝুঁকি নেই বাংলাদেশে।  

তিনি জাপানের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে আরও বেশি পরিমাণে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭/আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা
এমএন/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।