ক্লোজড হওয়া চার পুলিশ সদস্য হলেন- জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিঠু শেখ, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কিবরিয়া ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মাহবুব।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমির হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কোনো মামলা বা অভিযোগ ছাড়া শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় আল-আমীন ফুড কারখানায় অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের এই সদস্যরা।
এর প্রতিবাদে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসে অগ্নিসংযোগ-ভাংচুরের পাশাপাশি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী।
এ পরিস্থিতিতে ওই চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) গোলাম সবুরকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি আমির হোসেন।
আল-আমীন ফুড কারখানার মালিক আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কয়েকজন সদস্য তার মিলে এসে মুড়ির সঙ্গে সার মেশানোর অভিযোগ এনে সাত লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। অন্যথায় মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয় তারা। পরে দুই লাখ টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে সাময়িক রক্ষা পেলেও অবশিষ্ট টাকার জন্য ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকে তারা।
মাওনা-চৌরাস্তা বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা চাঁদার বাকি টাকা নিতে মুড়ির মিলে যায়। এ সময় অন্যান্য ব্যবসায়ীকে খবর দেয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রতিবাদ জানান। পরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ব্যবসায়ীদের কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা।
এ সময় এলাকাবাসী টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পাশাপাশি কারখানার ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় ডিবি পুলিশকে।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে রাত ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ বাংলনিউজকে বলেন, ওই পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান পুলিশের এ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭/আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা
আরএস/জিপি/জেডএস/আরআই