বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরুর অনুপস্থিতিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ম আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
শুনানির এদিন রাগীব আলীকে হাজির করা হয়।
আত্মসাতের প্রক্রিয়ায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাই ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জাল করেন বলে অভিযোগ এনে একটি স্মারক জালিয়াতির মামলা হয়।
দেবোত্তর সম্পত্তির চা-বাগান বন্দোবস্ত নেওয়া ও চা-ভূমিতে বিধিবহির্ভূত স্থাপনা করার অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি ও সরকারের এক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুটো মামলা করলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নিষ্পত্তি করে পুলিশ।
ভূমি মন্ত্রণালয় সচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করায় দুটি মামলা গত বছরের ১৯ জানুয়ারি পুনরুজ্জীবিত করার নির্দেশ দেন সুপ্রিমকোর্ট।
২০১৬ সালের ১০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল এবং ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে এদিনই রাগীব আলী তার ছেলে আবদুল হাই স্বপরিবারে ভারতে পালিয়ে যান।
১২ নভেম্বর দেশে ফেরার পথে জকিগঞ্জ সীমান্তে আবদুল হাই ও ২৩ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জে গ্রেফতার হন রাগীব আলী।
২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলায় ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এরপর ১৭ জানুয়ারি আদালতে রাগীব আলীর পক্ষে আদালতে সাফাই সাক্ষ্য দেন তারই মালিকানাধীন মালনিছড়া চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার মাহমুদ হোসেন চৌধুরী ও আব্দুল মুনিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এনইউ/বিএস