বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার বারিধায়ায় ভারতের ৬৮তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৫ সালের জুনে বাংলাদেশ সফর করেছেন।
এর আগে সকাল ৯টায় হাইকমিশন প্রাঙ্গণের ফুল দিয়ে সাজানো বেদিতে পতাকা উড়িয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাণী পাঠ করে শোনান হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বাণী পাঠ শেষে শিশুরা দেশের বিভিন্ন গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে। তারপর ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যান্ডদলের স্পেশাল পরিবেশনা।
সবমিলিয়ে ঘণ্টাখানেকের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হাইকমিশনার।
এসময় শ্রিংলা বলেন, সমগ্র ভারতবাসীর জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ১৯৫০ সালের এদিনে ভারত প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আমরা সংবিধান পাই এদিন। দিনটি একইসঙ্গে ভারতের মানুষের ধর্মীয়, ভাষাগত ও অন্যান্য বিশ্বাস এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত গতিশীল গণতন্ত্র রয়েছে। আমরা সংবিধানে বিশ্বাস করি। দু’দেশই অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও মানুষের বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। আমরা দু’দেশ আরও একটি জায়গায় স্বতন্ত্র- বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে আমরা প্রোয় একই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। দেশের তরুণ প্রজন্মের দিকে আমরা তাকিয়ে।
যুবকদের নিয়ে হাইকমিশনার বলেন, ভারতের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যুব সম্প্রদায়কে বিভিন্নভাবে দক্ষ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে। তরুণরা দেশের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পার্টনারশিপে কাজ করতে পারি। ভারত যুব সম্প্রদায়কে দক্ষ হিসেবে তৈরি করার জন্য শুধু সরকারের উপর ভরসা করে বসে নেই। বেসরকারিখাতও এগিয়ে আসছে।
সবশেষে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি তাকে আনন্দিত করেছে জানিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
**প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন হাইকমিশনার শ্রিংলা
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এএ