বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে নিবাসীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, তাদের থাকার স্থান পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় প্রধান বিচারপতি তাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং কেন্দ্রে আসার কারণ ও মামলার অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
পরিদর্শকালে প্রধান বিচারপতি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিবেশ দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ককে সবার মামলার যাবতীয় তথ্য তার দফতরে পাঠাতে নির্দেশ দেন।
কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আবুল ফজল মো. আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, কেন্দ্রে ১শ’ ৫০ জন নিবাসীর আসন রয়েছে। বর্তমানে ১শ’ ৯ জন নিবাসী রয়েছে। এর মধ্যে বিচারাধীন হত্যা মামলায় একজন, চুরির মামলায় একজন, মানব পাচার মামলায় দুইজন, মাদকদ্রব্য আইনে একজন, সাজাপ্রাপ্ত একজন, ভিকটিম ৫২ জন এবং নিরাপদ হেফাজজি ৫১ জন।
তিনি বলেন, নিবাসীদের মধ্যে ১৪ জন বাক প্রতিবন্ধী, সাতজন মানসিক প্রতিবন্ধী, একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। নয় বছরের কম বয়সী শিশু ১১ জন এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ২২ জন নিবাসী (সেফহোম) রয়েছে। কেন্দ্রের নিবাসীদের স্কুল শাখায় ২৫ জন শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে। এছাড়া এমব্রয়ডারি শাখায় ৩৪ জন এবং সেলাই শাখায় ৩৫ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
কেন্দ্র শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১০৫টি অভিভাবক মামলা, এক হাজার ৮শ’ ৬৬টি জিআর মামলা রয়েছে বলেও জানান আমান উল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
আরএস/জিপি/এমজেএফ