বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), কোষাধ্যক্ষের দফতর যেখানে সেই প্রশাসনিক ভবনেই রয়েছে সিগারেটের দোকান। এতে ধূমপান নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় ধূমপান নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ সিদ্ধান্ত জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ সকল অনুষদ, ইনস্টিটিউট, অফিস, ক্লাশ, গবেষণাগার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জন্য সিন্ডিকেট সকলের সহযোগিতা কামনা করছে”।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-৩) মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক অনুলিপি ৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদের ডিন, হলের প্রাধ্যক্ষ, সব বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, প্রক্টর, উপ-রেজিস্ট্রার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতির কাছে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঘুরে দেখা গেছে, প্রশাসনিক ভবনের উত্তর ব্লকে রয়েছে ক্যান্টিন। ক্যান্টিনের দরজার উপরের অংশে লেখা রয়েছে ‘ধূমপানমুক্ত এলাকা’। এর ঠিক দুই গজ দূরে বসানো হয়েছে অস্থায়ী সিগারেটের দোকান। সেখানেই প্রকাশ্যে চলছে ধূমপান। পুরো গলিতে ছড়িয়ে আছে সিগারেটের প্যাকেট, ফিল্টার।
আরেকটি সাইনবোর্ডে লেখা “প্রশাসনিক ভবনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন স্টাফ ক্যান্টিন কল্যাণ সমিতি কর্তৃক পরিচালিত”।
ধূমপান নিষিদ্ধ করার পরও কেন সিগারেট বিক্রি হচ্ছে- প্রশ্নের জবাবে দোকান মালিক নুরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, ক্যান্টিন সমিতি দোকান বসিয়েছে। আমি তাদের ১২শ’ টাকা ভাড়া দিই। সবাই এখান থেকে সিগারেট কেনে।
ক্যান্টিন পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দোকানটি আগে থেকে ভাড়া দেওয়া ছিলো। কর্তৃপক্ষ বললে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমি জানি না। এ রকম যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এটি